কোটা সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিষয়টি যেহেতু আদালতে বিচারাধীন, তাই সকলের ধৈর্য ধরে আদালতের চূড়ান্ত রায়ের জন্য অপেক্ষা করা উচিত। সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী আন্দোলন থেকে বিরত থাকার জন্যও তিনি আন্দোলনকারীদের প্রতি আহ্বান জানান।

obaidul quader 52ওবায়দুল কাদের, ফাইল ছবি

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি দেশের সর্বোচ্চ আদালত সকল দিক বিবেচনা করেই রায় দেবেন। শেখ হাসিনা 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়তে যে অভিযান শুরু করেছেন, তার মূল শক্তি হলো মেধাবী তরুণ প্রজন্ম। আর এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আমাদের প্রয়োজন শিক্ষিত, যোগ্য ও মেধাবী তরুণ প্রজন্ম।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালে একটি সার্কুলার জারি করে সকল ধরনের কোটা প্রথা বিলুপ্ত করে দিয়েছিলেন। এরপর সাতজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সেই সার্কুলারকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। পরবর্তীতে, সর্বোচ্চ আদালত কোটা সংক্রান্ত ওই সার্কুলারটি বাতিল করে দেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। অর্থাৎ, কোটা ব্যবস্থা বিলুপ্তিতে সরকার ছিল আন্তরিক এবং সেজন্যই অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন।’

হাইকোর্টে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় এ বিষয়ে মন্তব্য করা আইনসম্মত নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উভয় পক্ষের যুক্তি শুনেই আদালত চূড়ান্ত রায় দেবেন। তাই সকলের ধৈর্য্য ধরে আদালতের চূড়ান্ত রায়ের অপেক্ষা করা উচিত এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি এড়িয়ে চলা উচিত।’

এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের বিরক্তির সৃষ্টি হতে পারে, এমন কর্মসূচি এড়িয়ে চলার জন্যও তিনি আহ্বান জানান।

আওয়ামী লীগ নেতা আরও উল্লেখ করেন, পূর্বের কোটা আন্দোলনের ৩১ জন শীর্ষ নেতা বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি। তিনি এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানান।

চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনের সাথে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য জড়িত রয়েছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘বিএনপি ও তাদের সহযোগীরা খোলাখুলিভাবেই এই আন্দোলনকে সমর্থন দিচ্ছে। ফলস্বরূপ, এটি এখন রাজনৈতিক মেরুকরণের রূপ নিয়েছে।’

যে দল বা গোষ্ঠীই এই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন, তাদের উদ্দেশ্য সময়ের সাথে সাথে পরিষ্কার হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পৃথিবীর কোন দেশে কোনো রাজনৈতিক দল আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে? এই বিষয়টি এখনও বিচারাধীন এবং এক্ষেত্রে আন্দোলন করা আইনসম্মত নয়।’

তিনি আরও বলেন, কোটা বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত যখন সরকার নেয় তখনও আন্দোলন হয়েছিল। এখন আবার যখন বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন, তখনও আন্দোলন চলছে। তাহলে, এখানে সরকারের কী দোষ?

হাইকোর্টে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় এ বিষয়ে সমালোচনা বা প্রতিষ্ঠান করা আইনসম্মত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

জনদুর্ভোগ লাঘবে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার কোন পরিকল্পনা আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, যেহেতু রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেছে এবং আদালত এখনও চূড়ান্ত রায় দেননি, তাই এ মুহূর্তে সরকারের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব নয়। আদালতের রায়ের পর এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আন্দোলন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানাচ্ছেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার বক্তব্য থেকে আপনাদের বোঝা উচিত।’

‘প্রত্যয়’ পেনশন ব্যবস্থা বাস্তবায়নের বিরোধিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখানে কিছু ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারে। আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। তবে এখনও কোন আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি। বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.