ওপেনিং নিয়ে দুশ্চিন্তায় বাংলাদেশ

পাকিস্তান সিরিজের আর বেশি বাকি নেই। শিগগিরই ঘোষণা করা হবে বাংলাদেশ দল। সিরিজের প্রথম অংশে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে। সুতরাং ওয়ানডে স্কোয়াডই ঘোষণা করা হবে আগে। দুই একদিনের মধ্যেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)-এর নির্বাচক কমিটি বোর্ডের কাছে দল জমা দিবে। তার আগে ওপেনিং ও স্পিন বিভাগ নিয়ে চিন্তায় নির্বাচকরা। 

বিশ্বকাপে তামিমের সাথে প্রথম ওপেনার হিসেবে ছিলেন এনামুল হক বিজয়। কিন্তু স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে কাঁধে আঘাত পেয়ে আপাতত মাঠের বাইরে তিনি। ১৩ মার্চ তার কাঁধে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তারপর চলতি সপ্তাহে ব্যাটিংও করেছেন তিনি। কিন্তু বিজয় এখনো ম্যাচ খেলার মতো ফিট নন।

বিশ্বকাপে বিজয়ের বদলে উড়িয়ে নেওয়া হয় ইমরুল কায়েসকে। তিন ম্যাচে মাত্র ৯ রান করেন তিনি। ফলে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে তার দলে থাকার সম্ভাবনা খুব কম। বিজয় সুস্থ হলে তো ইমরুল জায়গা পাবেন না এটা নিশ্চিত, সুস্থ না হলেও ইমরুলের সুযোগ কম। 

বিজয় যেভাবে সুস্থ হয়ে উঠছেন, তাতে খুশি প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ। গতকাল সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘বিজয় সুস্থ হয়ে উঠছে। তবে পাকিস্তান সিরিজের আগে সে ম্যাচ খেলতে পারছে না। আমরা ওয়ানডের জন্য ১৪ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করবো। মাশরাফিও থাকতে সেই স্কোয়াডে, যদিও সে নিষিদ্ধ থাকার কারণে প্রথম ম্যাচ খেলতে পারবে না। তারপরও তার পরিবর্তে অতিরিক্ত কোনো বোলার থাকবে না স্কোয়াডে।’

বিজয়ের পরিবর্তে ইমরুলের সম্ভাবনা কম। সে ক্ষেত্রে ওপেনিংয়ে নতুন কারো দেখা পেয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ। সেই নতুন হতে পারেন লিটন দাস অথবা রনি তালুকদার। জাতীয় লিগে দুজনই ব্যাট হাতে ছুটিয়েছেন রান বন্যা। তারপরও তাদেরকে শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে কিনা; সংশয় আছে। ইমরুল কায়েসর পরিবর্তে সামসুর রহমানকে আবার দলে ফেরাতে পারেন নির্বাচকরা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলায় লিটন ও রনির চেয়ে এগিয়ে তিনি।

ওপেনিংয়ের পর বাংলাদেশে বড় দুশ্চিন্তা স্পিন বিভাগ। বিশ্বকাপে একটি করে ম্যাচ খেলেছেন আরাফাত সানি ও তাইজুল। কিন্তু বাংলাদেশের কন্ডিশনে প্রতি ম্যাচেই স্পিনাররা দলে থাকবেন। এখন দেখার বিষয় দুজন করে বাঁহাতি স্পিনার খেলেন, নাকি জুবায়েরকে আবার দলে ফেরান নির্বাচকরা। জাতীয় লিগের পাঁচ ম্যাচে জুবায়ের নিয়েছেন ১৬ উইকেট। রাজ্জাক ও ইলিয়াস সানির শিকার ৪২ ও ৪১ উইকেট। সুতরাং তাদেরকে বাদ দিয়ে জুবায়েরের দলে সুযোগ পাওয়া কঠিন।

এ ছাড়া আল আমিন ও শফিউলের মধ্যে কাকে দলে দেখা যাবে, তা নিয়েও ভাবতে হচ্ছে নির্বাচকদের। বিশ্বকাপের মাঝ পথে আল আমিনকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। মুমিনুলও বোধহয় জায়গা হারাবেন ওয়ানডে দলে। বিশ্বকাপের বেশিরভাগ ম্যাচে পানি টানার কাজ করতে হয়েছে তাকে। এ ছাড়া কোচ তিন নম্বরে সৌম্যকেই দেখতে চান। সব মিলিয়ে ওয়ানডে দলে ফিরতে অপেক্ষায় থাকতেই হচ্ছে মুমিনুলকে।

১৩ তারিখ বাংলাদেশে আসবে পাকিস্তান। ১৭ তারিখ মাঠে গড়াবে প্রথম ওয়ানডে। তার আগে ১০ তারিখের আগেই বাংলাদেশের ওয়ানডে স্কোয়াড ঘোষণা করার কথা।

আপনি আরো পড়তে পারেন

বিসিএলে রুবেল- মাশরাফির দিন

রবির বিজ্ঞাপনে রুবেল

শুরুতে সাকিব, শেষে মুশফিক