হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজায় অগ্নিসংযোগ, থমথমে পরিস্থিতি, বেশ কয়েকজন আহত

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বুধবার সন্ধ্যায় হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজায় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকেই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

ছবি - সংগৃহীত

সূত্র জানায়, এর আগে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে যাত্রাবাড়ী এলাকায় এই সংঘর্ষ চলে। অবশ্য টোল প্লাজায় আগুন দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ইটপাটকেল নিক্ষেপের মুখে পুলিশের সঙ্গে বারবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুলিতে চারজন আহত হন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভকারীরা হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজার সামনে জমা হয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পুলিশের হস্তক্ষেপ পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তোলে এবং তীব্র সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরাও যোগ দেয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় চারজনকে গুলি করা হয়েছে।

এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিক্ষোভকারীরা শনির আখড়ার কাছে অবস্থান নিয়েছে। অন্যদিকে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশের সদস্যরা সেখানে অবস্থান করছেন। যাত্রাবাড়ী সড়কে র‍্যাব সদস্যদের সাঁজোয়া যানে করে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের চলাচলের ওপর নজর রাখা হচ্ছে।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশ ও কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে ছয়জন আহত হন। আহতরা হলেন বাবু মিয়া (৫০) ও তার ছেলে রোহিত মিয়া (২), মো. ফয়সাল (১৮), মনিরুল ইসলাম (২০), পিয়াস (১৭) ও মো. সোহাগ মিয়া (২৭)। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ফয়সালের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ফয়সালকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা তানজিল বলেন, ‘আমরা চারজন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করেই ফয়সালসহ চারজনকে গুলি করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢামেকে আনা হয়। ফয়সালকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলেছেন, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

বাবা ও ছেলেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা লিপি আক্তার জানান, তারা শনির আখড়া বর্ণমালা স্কুলের পাশে একটি বাড়ির নিচতলায় বসা ছিলেন। এ সময় জানালার ভেতর দিয়ে গুলি এসে তার ছেলে ও স্বামীকে আঘাত করে।