জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

দেশব্যাপী কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহযোগিতা কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, `এই বিষয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য আমরা জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতা চাই। যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের ন্যায়বিচারের আওতায় আনতে হবে।'

প্রধানমন্ত্রী বলেন, `কারণ, আমি জানি এ ব্যাপারে আমার কোনো অবহেলা নেই।'

বুধবার এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিনি মৎস্য খাতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২২ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় মৎস্য পদকে ভূষিত করেন।

এ সময় তিনি সরকারি সম্পদ ধ্বংস, হত্যাকাণ্ডসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণকারীদের তীব্র ভাষায় সমালোচনা করে বলেন, `আমার প্রশ্ন, কারা কী লাভ করল? কেন রক্তপাত হলো?"

প্রধানমন্ত্রী জানান, কোনো দাবি উত্থাপনের আগেই এ বিষয়ে তদন্তের জন্য তারা সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতিকে নিয়ে ইতোমধ্যে এক সদস্যের বিচারিক তদন্ত কমিশন গঠন করেছেন।

তিনি বলেন, `আমরা একজন বিচারক (হাইকোর্টের) নিয়ে কমিশন গঠন করেছি। আজ, আমি আরও দু'জনকে জনশক্তি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত এবং তদন্তের পরিধি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছি।'

প্রধানমন্ত্রী এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ন্যায়বিচারের আওতায় আনার দায়িত্ব আবারও দেশবাসীর ওপর ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আপনাদের (দেশবাসী) ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে হবে, যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।’

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর দোসরদের চক্রান্ত বাংলাদেশকে বারবার পিছিয়ে দিয়েছে।

ভাবাবেগতাড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘এগুলো সবচেয়ে বেদনাদায়ক এবং দুঃখজনক বিষয়।’

অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান এবং এর সচিব সাইয়েদ মাহমুদ বেলাল হায়দার বক্তব্য রাখেন। মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

এ সময় মৎস্য খাতে সরকারের অগ্রগতি ও সাফল্যের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ বছর মৎস্য সপ্তাহের প্রতিপাদ্য হলো, ‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ।’