অব্যাহতি পেলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার চার দিনের মাথায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা দুর্নীতির মামলা থেকেও অব্যাহতি পেলেন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস

গত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ গ্রহণের তিন দিনের মাথায় এই ঘটনা ঘটল।

অধ্যাপক ইউনূস বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং নূরজাহান বেগম উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। উল্লেখ্য, নূরজাহান বেগমও এই দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন।

দুদকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪৯৪ ধারা অনুসারে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করে আজ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ একটি আবেদন দাখিল করে দুদক। আদালতের বিচারক মো. রবিউল আলম দুদকের আবেদন গ্রহণ করেন।

শপথ গ্রহণের একদিন আগে, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউনূস ও পরিচালকবৃন্দ- আশরাফুল হাসান, মো. শাহজাহান এবং নূরজাহান বেগম - শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় অব্যাহতি পেয়েছিলেন। উক্ত মামলায় গত ১ জানুয়ারি তাদের ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং ৩০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, গত ১২ জুন গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিকদের লাভজনক অংশীদারিত্ব তহবিলের প্রায় ২৫.২২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় অধ্যাপক ইউনূসসহ ১৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

গত ১ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান আনোয়ার প্রধান ঢাকার মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

গত ২ এপ্রিল ঢাকার মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত ১৪ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

ওই দিনই আদালত পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ স্থানান্তর করেন।

অন্যান্য ১৩ জন অভিযুক্ত হলেন - গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালন পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালকবৃন্দ - আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, পারভীন মাহমুদ, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম এবং এস এম হুজ্জাতুল ইসলাম লতিফি, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান এবং প্রতিনিধি মাইনুল ইসলাম, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যালয় সম্পাদক কামরুল হাসান, এবং আইনজীবী জাফরুল হাসান শরীফ এবং ইউসুফ আলী।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ মে গুলশান আনোয়ার ঢাকার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এই মামলা দায়ের করেন।