ডিসি নিয়োগে ঘুষকাণ্ড: তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি

জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের বিরুদ্ধে উত্থাপিত ঘুষের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে দুর্গাপূজা বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা শারমিন এস মুর্শিদ জানান, এই অভিযোগ তদন্তের জন্য তিনজন উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের লোগো

তারা হলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, আসিফ নজরুল এবং মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি আরও জানান, বিষয়টি তদন্তের জন্য তারা একটি কমিটি গঠন করবেন।

সিনিয়র সচিবের বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগের বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শারমিন মুর্শিদ বলেন, “অবশ্যই, সরকার তদন্ত করবে। তবে, দুটি বিষয় মাথায় রাখা উচিত। প্রথমত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ক্লিপটি কতটা সত্য এবং কতটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দ্বারা তৈরি বা কারসাজি করা? আমাদের মতো সাধারণ মানুষ সবসময় পার্থক্য করতে পারি না। মন্ত্রিসভা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে এবং আমরা তথ্যের সত্যতা যাচাই করছি।”

তিনি আরও বলেন, “বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত করা দরকার এবং আমরা তা নিশ্চিত করব।”

উদ্বেগ প্রকাশ করে উপদেষ্টা বলেন, “একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে নিয়ে এ ধরনের কথা শুনতে খুবই বিরক্তিকর। স্বাভাবিকভাবেই, আমরা এ নিয়ে উদ্বিগ্ন। ঘুষের অভিযোগ কেন উঠেছে, এর উৎস কী এবং এর পেছনের কারণ কী, তা আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। আমরা আর অ্যানালগ যুগে নেই, যা আমাদের চ্যালেঞ্জকে আরও বাড়িয়ে তোলে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যা কিছু দেখা যায় তা আমরা সত্য বলে মেনে নিতে পারি না; আমাদের অবশ্যই তা যাচাই করতে হবে।”

উল্লেখ্য, একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগের ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোখলেসুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রতিবেদনে সিনিয়র সচিবের হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনের স্ক্রিনশটও প্রকাশ করা হয়েছে।

তবে মোখলেসুর রহমান ডিসি নিয়োগে ঘুষের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন এবং ওই প্রতিবেদনকে ‘ভুয়া’ আখ্যা দিয়েছেন।