উপদেষ্টা: কর্ণফুলী টানেলের পেছনে ‘১০ হাজার কোটি টাকা অপচয়’

কর্ণফুলী টানেল নির্মাণে ব্যয় করা ১০ হাজার কোটি টাকা অপচয় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং রেলপথ উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান

শুক্রবার দিনাজপুরের পার্বতীপুর কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি পূর্ববর্তী সরকারের রেল উন্নয়ন নীতির সমালোচনা করেন। তিনি দাবি করেন, রেল খাতে বরাদ্দকৃত বিপুল অর্থের বেশিরভাগই অপচয় হয়েছে এবং যাত্রীসেবার উন্নতিতে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি।

ফাওজুল কবির বলেন, রেল নেটওয়ার্ক বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রসারিত হলেও গোপালগঞ্জের মতো জায়গায় অপ্রয়োজনীয় রেল স্টেশন ও লাইন নির্মাণের মতো বেশ কিছু প্রকল্প যাত্রীদের প্রকৃত চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেন, অনেক স্টেশন এমন সব এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে যেখানে রেল পরিষেবার চাহিদা নেই। ফলে সম্পদ অপচয় হয়েছে এবং সেবার মান উন্নত হয়নি।

কর্ণফুলী টানেলের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই টানেল প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। ফাওজুল কবির জানান, বর্তমানে এই টানেল দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করে না। ফলে এটি অব্যবহৃত এবং অদক্ষ অবকাঠামো প্রকল্পে পরিণত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, লোকোমোটিভ এবং যাত্রীবাহী বগি ক্রয়ে বিনিয়োগের অভাব সমস্যাটিকে আরও জটিল করে তুলেছে। বিদ্যমান রোলিং স্টকগুলিও অচল এবং অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।

রেল খাত পুনরুজ্জীবিত করার জন্য প্রচেষ্টা চালানো হবে বলে উপদেষ্টা আশ্বাস দেন। তিনি যাত্রীসেবা উন্নত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সড়ক, রেল ও জলপথের উন্নয়নের সমন্বয় সাধনের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন। রেল ব্যবস্থার জনবল সংকট সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।

তবে, তিনি স্বীকার করেন যে, নতুন লোকোমোটিভ এবং বগি সংগ্রহ করতে সময় লাগবে। তবে বিদ্যমান সম্পদ মেরামত এবং পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে যাত্রীসেবা উন্নত করা সম্ভব বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এ সময় রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।