ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দুর্ঘটনা: ‘হামলা’ বলে প্রচার করছে ভারতীয় গণমাধ্যম, বাসচালক বলছেন তেমন কিছুই নয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা রুটের শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের সড়ক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় গণমাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চান্দিয়ারা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ভারতীয় গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, বাসটিতে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। তবে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে এ তথ্য অস্বীকার করে বলা হয়েছে, এটি একটি সাধারণ সড়ক দুর্ঘটনা ছাড়া আর কিছুই নয়।

শ্যামলী পরিবহন

আগরতলা থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহনের বাসটি একটি ট্রাককে ওভারটেক করার সময় হঠাৎ ব্রেক কষলে পাশের একটি তিন চাকার ডেলিভারি ভ্যানকে চাপা দেয়। এতে ভ্যানচালক ইব্রাহিম সামান্য আহত হন। তবে বাসের যাত্রীরা, যাদের মধ্যে ভারতীয় নাগরিকও ছিলেন, সকলেই অক্ষত ছিলেন।

দুর্ঘটনার পর ভ্যানচালক ও বাসচালকের মধ্যে কিছুটা বাকবিতণ্ডা হয়। পরে স্থানীয়রা আহত ভ্যানচালককে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভ্যানটি সরিয়ে নেয়। এরপর শ্যামলী পরিবহন ও ডেলিভারি ভ্যান কর্তৃপক্ষের মধ্যে বিষয়টি মীমাংসা হয় এবং বাসটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

এই দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় গণমাধ্যম, বিশেষ করে হিন্দুস্তান টাইমস ও ত্রিপুরা টাইমস সম্পূর্ণ বিকৃত তথ্য প্রচার করে। হিন্দুস্তান টাইমসে বলা হয়, ‘কলকাতাগামী বাসে ইচ্ছে করে ট্রাকের ধাক্কা, ভারতীয়দের মেরে ফেলার হুমকি’। ত্রিপুরা টাইমসে শিরোনাম করা হয়, ‘বাংলাদেশে আগরতলা-কলকাতা বাসে হামলা, ভারতীয় যাত্রীরা আতঙ্কে’।

শ্যামলী পরিবহনের চালক মো. আসাদুল হক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোছাইন ভারতীয় গণমাধ্যমের এসব প্রচারণাকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য বলে উল্লেখ করেছেন। তারা জোর দিয়ে বলেছেন, এটি ছিল একটি সাধারণ সড়ক দুর্ঘটনা। এতে কোনো হাতাহাতি, হুমকি বা সাম্প্রদায়িক ঘটনার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।