বিনিয়োগ আকর্ষণে কেপজে জমি রেজিস্ট্রেশন ও বন্ড লাইসেন্স প্রক্রিয়া সহজীকরণের সিদ্ধান্ত

বিদেশি বিনিয়োগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের (কেপজ) জমি রেজিস্ট্রেশন ও বন্ড লাইসেন্স প্রক্রিয়া দ্রুততর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ তেজগাঁওস্থ তার কার্যালয়ে কেপজ পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। গত নয় বছরে রাষ্ট্রপ্রধানের সভাপতিত্বে এটিই ছিল কেপজ পরিচালনা পর্ষদের প্রথম বৈঠক।

কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বৈঠকে ভূমি অধিকার, বন্দর ও শুল্ক, শ্রম আইন এবং বিনিয়োগকারীদের সহায়তা ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। কেপজের অবশিষ্ট জমি দ্রুত হস্তান্তর, অনুমোদিত অর্থনৈতিক অপারেটর মডেল চালু, বন্ড লাইসেন্স প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং শ্রম আইন সংস্কারের বিষয়ে কমিটি কার্যকর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কেপজের প্রশাসন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) অধীনে স্থানান্তর করে কর্তৃত্ব বিকেন্দ্রীকরণ এবং সেবা দ্রুততর করার সিদ্ধান্তও সর্বসম্মতিক্রমে নেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করা হয়েছে, এসব পদক্ষেপের ফলে বৃহৎ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশ ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশের বার্তা পৌঁছাবে।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, “আমাদের বিদ্যমান বিনিয়োগকারীদের আমাদের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করার জন্য আমাদের তাদের সহায়তা করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “একটি পরীক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবে, কেপজের মূল চ্যালেঞ্জগুলি চিহ্নিত করে সমাধান করার জন্য বিডাতে একটি পৃথক সোয়াট টিম গঠন করা হয়েছে। আমরা একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চেয়েছিলাম। আর আজকের সফল বৈঠক প্রমাণ করে যে সরকারও দ্রুত কাজ করতে পারে।”

প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফি সিদ্দিকী বলেন, “আজকের ফলাফল স্পষ্ট উদ্দেশ্য এবং কেন্দ্রীভূত কার্যকরীকরণের মাধ্যমে পরিচালিত সরকারের একটি নতুন ধারার প্রতিফলন। আমরা আশা করি প্রতিক্রিয়া এবং প্রতিক্রিয়াশীল সংস্কারের একটি ধারাবাহিক চক্র আমাদের বিনিয়োগ পরিবেশ সম্পর্কে অনেক অভিযোগ খুব শীঘ্রই অপ্রাসঙ্গিক করে তুলবে।”

ইয়ংওয়ান কর্পোরেশন পরিচালিত কেপজে বর্তমানে ৪৮টি অত্যাধুনিক শিল্প ইউনিটে ৩৪,০০০-এরও বেশির বাংলাদেশির কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। ২,৫০০ একর জমির ৫২ শতাংশ সবুজায়নের জন্য সংরক্ষিত।