শেভরন বাংলাদেশে নতুন গ্যাস অনুসন্ধানে বিনিয়োগ করবে

মার্কিন জ্বালানি জায়ান্ট শেভরন বাংলাদেশে নতুন গ্যাস অনুসন্ধানে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক কাসুলোর নেতৃত্বে শেভরনের একটি প্রতিনিধি দল এ তথ্য জানায়।

ছবি - সংগৃহীত

শেভরনের কর্মকর্তারা জানান, ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফলে গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধি এবং ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নতির কারণে তারা দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নতুন খনন কার্যক্রমে বিনিয়োগে আগ্রহী। শেখ হাসিনার পূর্ববর্তী সরকার গত দুই বছরে শেভরনের কোটি কোটি ডলারের বকেয়া পরিশোধ বন্ধ করে দিলেও অন্তর্বর্তী সরকার তা পরিশোধ শুরু করায় তারা সন্তুষ্ট।

‘আমরা নতুন স্থলভাগে গ্যাস অনুসন্ধানে বিনিয়োগ করব,’ কাসুলো বলেন। নতুন গ্যাস সঞ্চয় দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আরও ত্বরান্বিত করবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শেভরনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রসারের মধ্যে দেশীয় কোম্পানিগুলোকে গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা অন্তর্বর্তী সরকারের রয়েছে।

‘আমরা এখন ব্যবসার জন্য প্রস্তুত। আমরা দেশে আরও বেশি বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই। বড় বড় বহুজাতিক কোম্পানিগুলি ইতিমধ্যেই ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে,’ তিনি বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নতি নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকার গৃহীত সংস্কারগুলির কথাও তুলে ধরেন এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য শেভরনের সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।

বৈঠকে উপস্থিত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফি সিদ্দিকী বলেন, আগামী এপ্রিলের মধ্যে শেভরনের বকেয়া পরিশোধের ব্যাপারে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই শেভরন এবং পেট্রোবাংলার মধ্যে ছয় মাসের পরিশোধের একটি চুক্তি হয়েছে।