ছাত্রদলের নেতৃত্বে ২৮ ছাত্র সংগঠনের বৈঠক, শিবির-বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অনুপস্থিত

বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের নেতৃত্বে ২৮টি ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বৃহস্পতিবার কাটাবনের গ্লোরিয়াস সেন্টারে এক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন তারা। তবে, এই বৈঠকে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন উপস্থিত ছিল না।

ছবি - সংগৃহীত

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব, জুলাই আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ, ছাত্র সংসদ নির্বাচন এবং গণ-আন্দোলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভূমিকাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, ভারত নানাভাবে শেখ হাসিনার সরকারকে সমর্থন করার চেষ্টা করেছে। এতে ব্যর্থ হওয়ার পর, ভারত এখন বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, আগরতলায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনে হামলাকে এর উদাহরণ হিসেবে ছাত্রনেতারা উল্লেখ করেছেন।

বৈঠকে, জুলাই আন্দোলনে নিহতদের জন্য ন্যায়বিচার, আহতদের সুচিকিৎসা, নিহত পরিবারের পুনর্বাসন এবং সাম্প্রদায়িক সংঘাত প্রতিরোধে ঐকমত্য প্রকাশ করেন ছাত্রনেতারা।

এছাড়াও, নিরাপদ ও বহিরাগতমুক্ত ক্যাম্পাস, ছাত্রদের গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চার পরিবেশ সৃষ্টি এবং ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার প্রচেষ্টা প্রতিরোধের বিষয়েও আলোচনা হয়।

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসিরউদ্দিন নাসির বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে আসা সংগঠনগুলো বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছে। ছাত্রশিবিরের অনুপস্থিতির ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি তাদের অংশগ্রহণে আপত্তি জানিয়েছে, তাই তাদেরকে আলোচনা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

নাসিরউদ্দিন বলেন, ভবিষ্যতে ছাত্রশিবির এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে আলোচনার জন্য ছাত্রদল উন্মুক্ত।

‘এমন নয় যে আমরা ছাত্রশিবিরের সঙ্গে কথা বলব না বা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খারাপ,’ তিনি বলেন। ‘তারা নিজেদেরকে ছাত্র সংগঠন হিসেবে উপস্থাপন করেনি। তারা তাদের অবস্থান স্পষ্ট করলে আমরা তাদের সঙ্গে বৈঠক করার বিষয়টি বিবেচনা করব।’

বৈঠকে অংশগ্রহণকারী সংগঠনগুলির মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ মুসলিম ছাত্রলীগ (নূর আলম) এবং পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ অন্যতম।