সেনাসদর: সেনা অভিযানে ৫০ দিনে অপরাধ কমেছে

সেনাবাহিনীর অভিযানের কারণে গত ৫০ দিনে সারাদেশে মব জাস্টিস, চাঁদাবাজি, চুরি ও হত্যার ঘটনা আগের দুই মাসের তুলনায় কমেছে। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা সেনানিবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরের মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লোগো

কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, সারা দেশে অপরাধের হটস্পটগুলো চিহ্নিত করে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি করা হচ্ছে। দুই মাস আগে চাঁদাবাজির অভিযোগ ছিল ২৫০টি, এখন তা কমে ১১০টিতে দাঁড়িয়েছে। চুরির ঘটনা ৮৫০ থেকে কমে ৬০০ এর নিচে নেমে এসেছে। খুনের ঘটনা ৩৫০ থেকে কমে ১২০টিতে নেমে এসেছে।

তিনি লামা, বান্দরবানে শ্রমিক অপহরণের ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনী উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। প্রায় ২০ জন শ্রমিক অপহৃত হয়েছে এবং তাদের মুক্তির জন্য মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দৌরাত্ম্যের বিষয়ে কর্নেল শফিকুল বলেন, সেনা টহল জোরদার করা হয়েছে। সাম্প্রতিক অভিযানে দুটি কেএনএফ ক্যাম্প ধ্বংস করা হয়েছে। কেএনএফ-এর অত্যাচারে বাস্তুচ্যুত ১১টি বম পরিবার সেনাবাহিনীর সহায়তায় বাড়ি ফিরেছে।

গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেনা অভিযানে ১৭২টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫২৭ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে। ৩৩৪ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার হয়েছে।