২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শোক দিবস পালনের দাবি

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থানরত ছাত্রজনতা ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘গ’ শ্রেণির প্রতীকী ‘শহীদ সেনা দিবস’ এর পরিবর্তে ‘ক’ শ্রেণির ‘জাতীয় শোক দিবস’ এবং সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।

ছবি - সংগৃহীত

সোমবার সন্ধ্যায় এক লিখিত বক্তব্যে গণঅবস্থানের সংগঠক ও বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ জানান, সরকার জাতীয় শোক দিবস পালন না করলেও ছাত্রজনতা মঙ্গলবার জাতীয় শোক দিবস পালন করবে। এ উপলক্ষে রাজু ভাস্কর্যে কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকালে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের ছবি ও ভিডিও প্রদর্শন করা হবে।

তিনি অভিযোগ করেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা ট্র্যাজেডির দিনকে ১৬ বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ‘ক’ শ্রেণির ‘জাতীয় শোক দিবস’ হিসেবে পালন করার কথা থাকলেও একে ‘গ’ শ্রেণির ‘শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রমূলক কাজটি অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যবহার করে করানো হয়েছে। শেখ হাসিনার ভাই শেখ কামালের জন্মদিন ‘ক’ শ্রেণির দিবস হিসেবে পালিত হলেও ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার শাহাদাতবার্ষিকী কেন ‘গ’ শ্রেণির দিবস হিসেবে গণ্য হবে?

আবদুল ওয়াহেদ বলেন, ২০০৯ সালের এই দিনে বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় সেনা কর্মকর্তাদের নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছিল। সেনা পরিবারের মা ও বোনেরা ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিল। গত ১৬ বছরে সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি, প্রকৃত খুনিদের বিচার হয়নি। আওয়ামী লীগ দলগতভাবে বিডিআর হত্যায় জড়িত থাকলেও দলটির বিচার হয়নি।

তিনি আরও বলেন, সরকারের উপদেষ্টা ও কর্মচারীরা হাসিনা সরকার ও আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা সেনা কর্মকর্তাদের হত্যাকারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে চায় না।

বিকাল ৩টায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করা হবে। সেখানে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সাংগঠনিক প্রধান মোঃ শফিউর রহমান, সাকিব আমিন, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের সিনিয়র সদস্য সচিব ইশতিয়াক আহমেদ ইফাত, সহকারী সদস্য সচিব হামিম খান শুভ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সচিব মুহিব মুশফিক খান প্রমুখ।