বহু প্রতীক্ষিত যমুনা নদীর ওপর নির্মিত ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন সম্বলিত ৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ যমুনা রেলসেতু আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। এই সেতু ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলের মধ্যে রেল যোগাযোগে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
789101213ছবি - সংগৃহীত
মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের ইব্রাহিমাবাদ রেলস্টেশনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সেতুটি উদ্বোধন করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত মি. সাইদা সিনিচি এবং জাইকার দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক মহাপরিচালক মি. ইতো তেরুয়েকি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সেতু ঢাকার সঙ্গে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের মধ্যে রেলযাত্রার সময় কমপক্ষে ৩০ মিনিট হ্রাস করবে। ইতোপূর্বে ট্রেনগুলোকে ধীরগতিতে যমুনা সড়ক সেতু পার হতে হতো, যা রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য উপযুক্ত ছিল না। নতুন রেলসেতুতে ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করতে পারবে।
মোট ৫০টি পিয়ার এবং ৪৯টি স্প্যান সম্বলিত ‘যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। পরে ২০২০ সালের ৩ মার্চ প্রকল্পের সংশোধিত ডিপিপি অনুমোদন পায়। প্রকল্পের ব্যয়ের ৭২.৪০ শতাংশ জাইকা এবং ২৭.৬০ শতাংশ বাংলাদেশ সরকার বহন করেছে।
প্রকল্পের আওতায় ৪.৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল সেতু, ভায়াডাক্ট, রেলওয়ে এমব্যাংকমেন্ট, রেল লাইন, ইব্রাহিমাবাদ ও সয়দাবাদ স্টেশনের আধুনিকীকরণ, সিগন্যালিং ও টেলিকমিউনিকেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, রেলসেতু জাদুঘর, ইন্সপেকশন বাংলো, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন এবং নদী শাসন কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
চারটি প্যাকেজে বিভক্ত প্রকল্পের কাজ বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সম্পন্ন করেছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মোঃ মাসউদুর রহমান স্বাগত বক্তব্য রাখেন।