চাকরিচ্যুত বিডিআরদের পদযাত্রায় পুলিশের জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

চাকরিতে পুনর্বহালসহ তিন দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ থেকে যমুনা ভবনের উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করেছিলেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। তবে কাকরাইল মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে আন্দোলনটি রুদ্ধ হয়ে যায়। পরে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে পদযাত্রায় অংশ নিয়েছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা

সোমবার (৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে যাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে সকাল ১১টা পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দেন তারা। সময়সীমার মধ্যে দাবি মেনে না নেওয়ায় তারা রাস্তায় নামেন।

প্রথমে মৎস্য ভবনের সামনে পুলিশ পদযাত্রা আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তা উপেক্ষা করে এগিয়ে যান কাকরাইলের দিকে। কাকরাইল মোড়ে গিয়ে তারা অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ শুরু করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

পরে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বিক্ষোভকারীদের সরে যেতে অনুরোধ করেন এবং যমুনায় প্রতিনিধি পাঠানোর প্রস্তাব দেন। একই সঙ্গে ১০ মিনিটের আল্টিমেটামও দেওয়া হয়।

তবে আন্দোলনকারীরা সেখানে অনড় থাকলে, বেলা সোয়া ১২টার দিকে পুলিশ জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। ছোড়া হয় মোট ৬টি সাউন্ড গ্রেনেড। এতে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী ও পুলিশের সদস্য আহত হন এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়। পরে আন্দোলনকারীদের ধীরে ধীরে পিছু হটিয়ে মৎস্য ভবনের দিকে সরিয়ে নেয় পুলিশ।

চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। তাদের প্রধান তিনটি দাবি হলো: চাকরিতে পুনর্বহাল ও ক্ষতিপূরণ প্রদান, পিলখানা হত্যা মামলায় গঠিত স্বাধীন তদন্ত কমিশনের বিতর্কিত ধারাসমূহ বাতিল এবং ‘বিডিআর’ নাম পুনঃপ্রবর্তন ও কারাগারে থাকা বিডিআর সদস্যদের মুক্তি।

দুই সপ্তাহ ধরে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন এই চাকরিচ্যুত সদস্যরা ও তাদের পরিবার। আজকের পদযাত্রা সেই আন্দোলনেরই ধারাবাহিক অংশ ছিল।