নতুন অভিবাসন বিল পাস: অমিত শাহের হুঁশিয়ারি, ভারত ধর্মশালা নয়!

বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে অনুপ্রবেশ রুখতে নতুন অভিবাসন বিল পাস করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) লোকসভায় প্রায় তিন ঘণ্টা আলোচনার পর ‘অভিবাসন ও বিদেশি নাগরিক বিল, ২০২৫’ পাস হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ সময় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ভারত কোনো ধর্মশালা নয়। দেশের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলতে পারে এমন কাউকে ভারতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

লোকসভা ও অমিত শাহ

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই লোকসভায় বিলটি পেশ করেন। পরবর্তী আলোচনায় অমিত শাহ বলেন, যারা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে চান তাদের স্বাগত, কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলতে পারে এমন কাউকে ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।

নতুন এই বিল দেশের নিরাপত্তা জোরদার করবে এবং অর্থনীতি ও ব্যবসার প্রসার ঘটাবে বলে আশা প্রকাশ করেন শাহ। পর্যটন, ব্যবসা, শিক্ষা বা চিকিৎসার জন্য আসা সকলকে স্বাগত জানানো হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

অনুপ্রবেশ রোধে কড়া পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়ে অমিত শাহ তার বক্তব্যে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়টিও তুলে ধরেন। তিনি অভিযোগ করেন, আসামে কংগ্রেসের শাসনামলে অবৈধ অনুপ্রবেশ বেড়েছিল এবং বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পশ্চিমবঙ্গ থেকে আটক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের কাছে পশ্চিমবঙ্গের ঠিকানায় আধার কার্ড পাওয়া গেছে বলেও দাবি করেন তিনি। সীমান্তে কাঁটাতারের জন্য জমি না পাওয়ায় ৪৫০ কিলোমিটার কাঁটাতার স্থাপনের কাজ বন্ধ রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

তৃণমূল কংগ্রেস শাহের এই অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করে, সীমান্তরক্ষায় বিএসএফ-এর ব্যর্থতার দায় পশ্চিমবঙ্গের ওপর চাপানো হচ্ছে। তৃণমূল এমপি আবু তাহের খান বলেন, শাহের বক্তব্য তার ব্যর্থতা প্রকাশ করে। বিএসএফ যদি সীমান্তরক্ষার পরিবর্তে মানব ও নেশাদ্রব্য পাচারে জড়িত থাকে, তাহলে এর দায়িত্ব রাজ্য সরকারের নয়, বরং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। তিনি শাহের পদত্যাগও দাবি করেন।