নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলিম প্রার্থনাকক্ষ ভাংচুর, তীব্র নিন্দা

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনওয়াইইউ) ম্যানহ্যাটন ক্যাম্পাসে মুসলিম শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত একটি প্রার্থনাকক্ষে ভাঙচুর ও ইসলামবিদ্বেষী গ্রাফিতি লিখনের ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে ববস্ট লাইব্রেরিতে অবস্থিত এই প্রার্থনাকক্ষে এই ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, ছাত্র সংগঠন এবং মানবাধিকার কর্মীরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং নিউইয়র্ক সিটি পুলিশের হেট ক্রাইমস টাস্ক ফোর্স।

নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি

এনওয়াইইউর গ্লোবাল ক্যাম্পাস সেফটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফাউন্টেন ওয়াকার এই ভাঙচুরকে ‘একটি ধর্মীয় স্থানের অবমাননা’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এই ঘটনা घৃণ্য ও নিন্দনীয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশের পরিপন্থী। এনওয়াইইউ এ ধরনের ঘটনার প্রতি 'জিরো টলারেন্স' নীতি অনুসরণ করে।

এনওয়াইইউ ইসলামিক সেন্টার জানিয়েছে, এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। তারা এ ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করছে না। তাদের মতে, মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকেই গত কয়েক বছরে ক্রমবর্ধমান ইসলামোফোবিয়ার শিকার হচ্ছেন।

আমেরিকান-ইসলামিক সম্পর্ক কাউন্সিল (সিএআইআর) এই ঘটনার জন্য জবাবদিহিতা এবং মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য শক্তিশালী সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োগের দাবি জানিয়েছে। সিএআইআর-নিউইয়র্কের নির্বাহী পরিচালক আফাফ নাসের বলেছেন, এই ঘটনা এনওয়াইইউ এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর সরাসরি আঘাত।

ইসলামিক সেন্টার জানিয়েছে, তারা এনওয়াইইউ প্রশাসনের সঙ্গে প্রার্থনাকক্ষটি পুনরুদ্ধার এবং এরকম ঘটনা রোধে কাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনও গ্রাফিতির ধরন বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রকাশ করেনি, তবে তারা প্রার্থনাকক্ষের নিরাপত্তা বাড়ানোর অঙ্গীকার করেছে।