হামাসের ৫ বছর মেয়াদি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান নেতানিয়াহুর!

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস গাজায় চলমান যুদ্ধের অবসানে ইসরায়েলের কাছে পাঁচ বছর মেয়াদি একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে শুক্রবার (২ মে) দাবি করেছে হামাস। সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু

হামাসের শীর্ষ নেতা আবদুর রহমান শাদিদ এক বিবৃতিতে জানান, তাদের প্রস্তাবে একযোগে আগ্রাসন বন্ধ, গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, অবরোধ তুলে নেওয়া এবং ত্রাণ ও পুনর্গঠনের জন্য প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছিল। এছাড়া, গাজায় থাকা সকল ইসরায়েলি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে নির্ধারিত সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি, পাঁচ বছরের যুদ্ধবিরতি এবং গাজার প্রশাসনের জন্য একটি স্বাধীন কমিটি গঠনের বিষয়ও প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।

শাদিদ বলেন, ‘নেতানিয়াহুর চরমপন্থী সরকার এই পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। এমনকি ইসরায়েলি বন্দীদের জীবন বিপন্ন করেও তারা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়নি’ 

তিনি আরও জানান, হামাস মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে যে, একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত হলেই কেবল তারা যেকোনো প্রস্তাবে সাড়া দেবে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মিত্র দেশগুলোর সমালোচনা করে হামাসের এই নেতা বলেন, ‘গাজায় চলমান গণহত্যা, অবরোধ ও দুর্ভিক্ষের জন্য তারাই দায়ী।’

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৫২ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

ইসরায়েলি তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে গাজায় ৫৯ জন ইসরায়েলি বন্দী রয়েছে, যাদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলি কারাগারে ৯ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দী অমানবিক অবস্থায় আটক রয়েছেন বলে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইতিমধ্যে নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছে। এছাড়া, আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলা চলমান রয়েছে।