রিজওয়ান: ক্রিকেট ও রাজনীতির মিশ্রণ কাম্য নয়

পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ফ্র্যাঞ্চাইজি মুলতান সুলতানসের অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান স্পষ্টভাবে বলেছেন, ক্রিকেট এবং রাজনীতিকে কখনো একসঙ্গে মেশানো উচিত নয়। লাহোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।

মুলতান সুলতানসের অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান

রিজওয়ান বলেন, ‘ক্রিকেটে রাজনীতির কোনো স্থান নেই। পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে কী চলছে, তা আমি জানি না কারণ আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করি না।’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের সঙ্গে সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিরাট কোহলি কিংবা জো রুটের মতো খেলোয়াড়দের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক একটি ক্রিকেট পরিবারের মতো। আমরা তাদের কাছ থেকে শিখি, তারাও আমাদের কাছ থেকে শেখেন।’

পিএসএল থেকে মুলতান সুলতানসের বিদায়ের কারণ হিসেবে রিজওয়ান দলের দুর্বলতা স্বীকার করে বলেন, ‘দলের নির্বাচন পরিবেশের ওপর ভিত্তি করে হয়। সব দল স্পিনার বেছে নিয়েছিল, কিন্তু এখানে আমরা ভুল করেছি বলেই টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়েছি। এছাড়া ফিল্ডিংয়েও ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারিনি।’

অধিনায়কত্বের চাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চাপ নেই বললে মিথ্যা বলা হবে। পাকিস্তান ও মুলতান, উভয় দলের অধিনায়ক হিসেবেই চাপ থাকে। এই চাপকে স্বীকার করে ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে।’

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ধরন নিয়েও কথা বলেন রিজওয়ান। তিনি বলেন, ‘অনেকেই বলেন আমাদের আধুনিক ক্রিকেট খেলতে হবে। কিন্তু কন্ডিশন যদি সহায়ক না হয়, তাহলে আমরা কী করতে পারি? অনেক সময় এখানে টি-টোয়েন্টিতেও টেস্টের মেজাজে খেলতে হয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই দেখেছেন, ১২০ রান করাও কতটা কঠিন ছিল।’ কারো সঙ্গে তুলনা না করে নিজেদের খেলার দিকে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

পিএসএলের অন্য দলগুলো সম্পর্কে রিজওয়ান বলেন, ‘লাহোর কালান্দার্সের খেলার মধ্যে ভিন্নরকম প্যাশন আছে। কোয়েটার গতি ভালো, আর করাচি ও ইসলামাবাদ খুব ভালো স্কোয়াড তৈরি করেছে।’

পিএসএলে শিশু ক্যান্সার সচেতনতা দিবস পালন

এদিকে, পিএসএলের কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে শনিবার (৩ মে) ‘শিশু ক্যান্সার সচেতনতা দিবস’ পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরস ও ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের মধ্যকার ম্যাচে খেলোয়াড়, ম্যাচ অফিসিয়াল এবং ধারাভাষ্যকাররা এই সচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশ নেন।

গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে ম্যাচ অফিসিয়াল ও ধারাভাষ্যকাররা সোনালি রঙের রিবন পরেন। খেলোয়াড়রা পরেন গোল্ডেন ক্যাপ ও সোনালি রিবন। স্টাম্পেও গোল্ড ব্র্যান্ডিং করা হয়। এছাড়া, ক্যান্সার জয়ী তিনজন শিশুকে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং দুই দলের খেলোয়াড়রা তাদের স্বাক্ষর করা জার্সি উপহার দেন। স্টেডিয়ামের বড় পর্দায় শিশু ক্যান্সার সচেতনতামূলক বার্তাও প্রদর্শন করা হয়।