ভারতের হাতে পাক রেঞ্জার আটক, রাতভর সীমান্তে তুমুল গোলাগুলি

কাশ্মির হত্যাকাণ্ডের জের ধরে দুই প্রতিবেশি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধংদেহী উত্তেজনা চলছে। প্রতি রাতেই সীমান্তে গোলাগুলিতে লিপ্ত হচ্ছে দুই দেশের সেনারা। এরইমধ্যে শনিবার রাজস্থানের সীমান্ত থেকে একজন পাকিস্তানি রেঞ্জারকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ নিয়ে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। খবর এনডিটিভির।

সীমান্তরেখা বরাবর দশম রাতের মতো পাল্টাপাল্টি গুলি চালিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের সেনারা

ভারতীয় বিএসএফ জানিয়েছে, রাজস্থানের আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে শনিবার রাতে একজন পাকিস্তানি রেঞ্জারকে আটক করা হয়েছে। তাকে বর্তমানে বিএসএফের রাজস্থান ফ্রন্টিয়ারের হেফাজতে রাখা হয়েছে। আটক পাকিস্তানি রেঞ্জার সদস্যের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি বিএসএফ।

এর আগে ২৩ এপ্রিল বিএসএফ সদস্য পূর্ণম কুমার সাহু পাকিস্তানি রেঞ্জারদের হাতে আটক হন। ধারণা করা হচ্ছে, তারই প্রতিশোধ হিসেবেই পাক রেঞ্জারকে ধরে এনেছে বিএসএফ।

সূত্র জানিয়েছে, পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সেক্টরে সীমান্তবর্তী কৃষকদের পাহারা দেওয়ার সময় অসাবধানতাবশত আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করার পর বিএসএফ কনস্টেবল সাহুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ভুলবশত সীমান্ত অতিক্রমকারী জওয়ানদের ফিরিয়ে দেওয়ার একটি রীতি রয়েছে। তবে গত ২২ এপ্রিল কাশ্মিরের পহেলগামে বন্দুকধারীর গুলিতে পর্যটকসহ ২৬ জন নিহতের পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চলছে।

ভারতের পক্ষ থেকে সাহুর মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, কিন্তু পাকিস্তানের পক্ষ কোনও সময়সীমা নির্ধারণ করেনি বা এমনকি তার বর্তমান অবস্থা নিশ্চিত করেনি।

ধারণা করা হচ্ছে, পাকিস্তান সাহুকে লাহোরে পাকিস্তান রেঞ্জার্সের একটি স্থাপনায় আটক রেখেছে। তারা সাহুকে মুক্তি না দেওয়ায় বন্দি পাকিস্তানি রেঞ্জারকে নিয়ে ভারত কী করবে, সেটি এখনও স্পষ্ট নয়।

বিএসএফ সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানি রেঞ্জারকে আটক করার কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সীমান্ত পোস্টগুলো থেকে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর একাধিক সেক্টরে বিনা উস্কানিতে ছোট অস্ত্রের গুলিবর্ষণ করেছে।

সামরিক সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানি সেনারা সীমান্তের কুপওয়ারা, বারামুল্লা, পুঞ্চ, রাজৌরি, মেন্ধার, নওশেরা, সুন্দরবানি এবং আখনুর সেক্টরে এএকযোগে গুলি চালায়। ভারতীয় সেনাবাহিনীও তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

এ নিয়ে টানা দশম রাত সীমান্তে পাল্টাপাল্টি গুলির ঘটনা ঘটলো। তবে শনিবার রাতের গোলাগুলি উভয়পক্ষের সবচেয়ে বড় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন হিসেবে চিহ্নিত। তবে এসব ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।