রাজনৈতিক দলকে বিচারের আওতায় আনতে ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এখন থেকে শুধু ব্যক্তি নয়, প্রয়োজন হলে রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোকেও শাস্তি দিতে পারবে। শনিবার (১০ মে) অন্তর্বতী সরকার এ বিষয়ে আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

সংশোধন এই আইনে বলা হয়, এই আইন বা প্রযোজ্য অন্যান্য আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, যদি ট্রাইব্যুনালের কাছে প্রতীয়মান হয় যে কোনো সংগঠন এই আইনের ৩ ধারা উপধারা (২)-এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেছে, আদেশ দিয়েছে, চেষ্টা করেছে, সহায়তা করেছে, উসকানি দিয়েছে, মদদ দিয়েছে, ষড়যন্ত্র করেছে, সহযোগিতা করেছে অথবা অন্য যেকোনোভাবে সেই অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করেছে, তবে ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা থাকবে সংগঠনটির কার্যক্রম স্থগিত বা নিষিদ্ধ করার, সংগঠনের নিষিদ্ধ ঘোষণার, এর নিবন্ধন বা লাইসেন্স স্থগিত অথবা বাতিল করার এবং এর সম্পত্তি জব্দ করার।

আইনে সংগঠন শব্দটির সংজ্ঞায়নও করা হয়েছে। এই আইনের আওতায় সংগঠন বলতে যেকোনো রাজনৈতিক দলকেও বোঝাবে। পাশাপাশি দলের অধীনস্থ, সম্পর্কিত বা সংশ্লিষ্ট কোনো সংগঠন অথবা গোষ্ঠীকে বোঝাবে।

শনিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।

ওই সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে। এই নিষেধাজ্ঞা সাইবার স্পেসসহ সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।

উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জুলাই আন্দোলনের নেতা-কর্মী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অঙ্গীকারও করা হয়।

একই সঙ্গে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ‘জুলাই সনদ’ চূড়ান্তভাবে প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।