যুক্তরাষ্ট্রে ৬০০ বিলিয়ন ডলার সৌদি বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পেলেন ট্রাম্প

সৌদি আরব থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ৬০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (১৪ মে) সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠকে এই প্রতিশ্রুতি আদায়সহ বেশ কিছু চুক্তি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। খবর রয়টার্সের।

রিয়াদে সৌদি যুবরাজের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

হোয়াইট হাউসের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবের কাছে ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র প্যাকেজ বিক্রি করতে সম্মত হয়েছে, যা ওয়াশিংটনের করা সর্ববৃহৎ প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি।

হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রাম্প ও সৌদি যুবরাজ জ্বালানি, প্রতিরক্ষা, খনি এবং অন্যান্য খাতে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন।

ট্রাম্প মূলত সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের অংশ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের তিন দেশ সফরে বেরিয়েছেন। আজ বুধবার তিনি সৌদি আরবের রিয়াদে যান। সেখানে সৌদি আরবের ডি-ফ্যাক্টো নেতা যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন।

ট্রাম্পের এ সফরের আরেকটি উদ্দেশ্য হচ্ছে ইসরায়েলের সঙ্গে আঞ্চলিক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটিয়ে দেওয়া এবং ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা প্রাচীর শক্ত  করে গড়ে তোলা।

হোয়াইট হাউসের একটি তথ্যপত্রে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদির মধ্যে নতুন চুক্তিতে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা, বিমান বাহিনী ও মহাকাশ, সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং যোগাযোগের মতো খাতে এক ডজনেরও বেশি মার্কিন প্রতিরক্ষা কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

চুক্তিতে লকহিড এফ-৩৫ জেট বিমান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, যে আলোচনা হয়েছে, তাতে সৌদি যুবরাজ বলেছেন সামনে আরও চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে মোট প্যাকেজ ১ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে।

সৌদি আরব মার্কিন অস্ত্রের অন্যতম বৃহত্তম ক্রেতা এবং দুই দেশ কয়েক দশক ধরে দৃঢ় সম্পর্ক বজায় রেখেছে। সম্পর্কের আওতায় সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রে তেল সরবরাহ করে এবং বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবের অস্ত্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

যদিও ২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে সৌদি এজেন্টদের হাতে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার পর দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেয়।

মার্কিন গোয়েন্দাদের অভিযোগ, মুহাম্মদ বিন সালমান নিজের সমালোচক খাশোগিকে ধরা বা হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। যদিও সৌদি সরকার ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। ট্রাম্প তার চলমান সফরের সময় বা যুবরাজের সঙ্গে বৈঠককালে এই ঘটনার কোনো উল্লেখ করেননি।