গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত ১৪৬, আহত শতাধিক

গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১৪৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, ইসরায়েল নতুন করে স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শনিবার সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া দফায় দফায় হামলাগুলো সম্প্রতি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ধাপে পৌঁছেছে। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ করলেও যুদ্ধবিরতির কোনো অগ্রগতি হয়নি।

উত্তর গাজার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের পরিচালক মারওয়ান আল-সুলতান জানান, মধ্যরাত থেকে এখন পর্যন্ত আমরা ৫৮ জন শহীদের মরদেহ পেয়েছি। বহু হতাহত এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে। হাসপাতালের ভেতরের অবস্থা ভয়াবহ।

স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ৪৫৯ জন আহত হয়েছেন।

এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজা উপত্যকায় বিস্তৃত হামলা চালাচ্ছে এবং ‘অপারেশনাল কন্ট্রোল’ প্রতিষ্ঠা করতে নতুন অভিযান শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ইসরায়েলের অবরোধ ও বারবার হাসপাতাল লক্ষ্য করে হামলার ফলে গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে। ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর ঘাটতি চরমে পৌঁছেছে।

ইসরায়েলি এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, ট্রাম্পের সফর শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান শুরু হবে না।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী শনিবার বলেছে, আমরা ধীরে ধীরে সেনা মোতায়েন বাড়াচ্ছি; হামাস এখনো চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যাচ্ছে”

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ৭৬ দিন ধরে সাহায্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার নিরাপত্তা পরিষদকে জিজ্ঞেস করেছেন, গণহত্যা প্রতিরোধে তারা কিছু করবে কি না?

শুক্রবার ট্রাম্প স্বীকার করেছেন যে, গাজায় খাদ্য সংকট দিন দিন বাড়ছে, এবং তিনি মানবিক সাহায্য পুনরায় চালু করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে ইসরায়েলের ওপর যাতে তারা যুদ্ধবিরতা আলোচনা ও অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হয়।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ৫ মে জানিয়েছেন, তার সরকার হামাসের বিরুদ্ধে আরও ব্যাপক ও তীব্র সামরিক অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে, যার মধ্যে পুরো গাজা দখলের কথাও উল্লেখ রয়েছে।