ফ্লোরিডায় খাবার পানিতে ফ্লোরাইড মেশানো নিষিদ্ধ

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে জনসাধারণের খাবার পানিতে ফ্লোরাইড মেশানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গভর্নর রন ডিস্যান্টিস বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি নতুন আইনে স্বাক্ষর করার পর ফ্লোরিডা এই পদক্ষেপ নেওয়া দ্বিতীয় মার্কিন অঙ্গরাজ্যে পরিণত হলো।

খাবার পানি

এই নতুন আইনের অধীনে, শুধুমাত্র পানির গুণমান, দূষিত পদার্থ অপসারণ বা নিয়ন্ত্রক মান বজায় রাখার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত সংযোজনীগুলো ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর ফলে কার্যত খাবার পানিতে ফ্লোরাইড মেশানো নিষিদ্ধ হয়ে গেলো।

আইনটি স্বাক্ষরের সময় রিপাবলিকান পার্টির সদস্য ডিস্যান্টিস বলেন, ‘দাঁতের জন্য ফ্লোরাইড ব্যবহার করুন, এটা ঠিক আছে।’ তবে কয়েক দশক ধরে আমেরিকার বিভিন্ন রাজ্যে প্রচলিত একটি জনস্বাস্থ্য সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ নিষিদ্ধ করার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘খাবার পানিতে এটি মেশানো মানে একরকম জোর করে মানুষকে ওষুধ খাওয়ানো। তাদের এক্ষেত্রে কোনো পছন্দের সুযোগ থাকছে না।’

এই পদক্ষেপটি ফ্লোরিডার বিতর্কিত সার্জন জেনারেল ড. জোসেফ লাডাপোর গত নভেম্বরে জারি করা নির্দেশনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। ড. লাডাপো কথিত স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে জনসাধারণের ব্যবহার্য পানি সরবরাহে ফ্লোরাইড মেশানোর বিরুদ্ধে পরামর্শ দিয়েছিলেন। বর্তমানে, রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সরকারি পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যবহারকারী ফ্লোরিডার ৭০ শতাংশেরও বেশি বাসিন্দা ফ্লোরাইডযুক্ত পানি পান করেন।

উল্লেখ্য, ফ্লোরাইড একটি প্রাকৃতিকভাবে প্রাপ্ত খনিজ এবং এটি সার উৎপাদনের একটি উপজাত। কয়েক দশক ধরে, যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ দাঁতের ক্ষয় রোধে খাবার পানিতে এর নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারকে সমর্থন করে আসছে।

তবে, কিছু সাম্প্রতিক গবেষণায় গর্ভাবস্থায় উচ্চ মাত্রায় ফ্লোরাইডের সংস্পর্শে আসাকে শিশুদের কম আইকিউ স্কোর এবং আচরণগত সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত করা হয়েছে। এই গবেষণাগুলো ফ্লোরাইডের সম্ভাব্য স্নায়ুবিকাশজনিত প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।