পশ্চিম তীরে ‘ইহুদি ইসরায়েলি রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

অধিকৃত পশ্চিম তীরে একটি পূর্ণাঙ্গ ‘ইহুদি ইসরায়েলি রাষ্ট্র’ গড়ে তোলার কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। সম্প্রতি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ পশ্চিম তীরে ২২টি নতুন বসতি স্থাপনের ঘোষণা দেওয়ার একদিন পর এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়াকে ‘নৈতিক কর্তব্য’ বলার কয়েক ঘণ্টা পরই কাটজ এই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন। শুক্রবার তিনি পশ্চিম তীরের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের অবৈধ ফাঁড়ি সা-নুর পরিদর্শনে গিয়ে এই কথা বলেন।

পশ্চিম তীর

কাটজের দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর’ প্রতি ইসরায়েলের জবাব হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এটি ম্যাক্রোঁ এবং তার সহযোগীদের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা: তারা কাগজে-কলমে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে, আর আমরা এখানে ইহুদি ইসরায়েলি রাষ্ট্র গড়ে তুলব।’

সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক পরিণতির বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেবেন না। আপনারা আমাদের মাথা নত করতে বাধ্য করতে পারবেন না। ইসরায়েল রাষ্ট্র হুমকির সামনে নতজানু হবে না।’

এর আগে, চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইসরায়েলি সংবাদপত্র ইয়েদিওথ আহরোনোথ জানায়, ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গোপনে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ২২টি নতুন অবৈধ বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে। বসতিবিরোধী ইসরায়েলি গোষ্ঠী ‘পিস নাউ’ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, নতুন অনুমোদিত বসতিগুলোর মধ্যে ১২টিই ছিল ফিলিস্তিনিদের কৃষিজমি।

‘পিস নাউ’-এর তথ্যমতে, বর্তমানে পূর্ব জেরুজালেমসহ অধিকৃত পশ্চিম তীর জুড়ে ১৫৬টি অবৈধ বসতি এবং ২২৪টি ফাঁড়ি বিদ্যমান, যেখানে ৭ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী বাস করছে।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, জাতিসংঘসহ গোটা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরায়েলি এই বসতি স্থাপনকে অবৈধ বলে গণ্য করে। জাতিসংঘ একাধিকবার সতর্ক করেছে যে, এ ধরনের বসতি সম্প্রসারণ দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, যা দশকের পর দশক ধরে চলা ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত নিরসনের প্রধান উপায় হিসেবে বিবেচিত।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি