বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস আজ

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস আজ ৩১ মে। ‘তামাক নয়, খাদ্য ফলান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে। তথ্যমতে, তামাকজনিত অসুস্থতায় বাংলাদেশে প্রতি বছর ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যান।

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস আজ ৩১ মে

বর্তমান বিশ্বের ১২৫টিরও বেশি দেশে প্রায় ৪০ লাখ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়ে থাকে। বিশ্বের শীর্ষ তামাক উৎপাদনকারী দেশগুলোর অধিকাংশই নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশ। বিশ্বজুড়ে তামাক চাষে ব্যবহৃত জমির পরিমাণের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান হচ্ছে ১৩তম। বিশ্বের মোট তামাকের ১.৩ শতাংশই উৎপাদিত হয় বাংলাদেশে।

পৃথিবীব্যাপী উৎকৃষ্ট মানের জমি ক্রমবর্ধমানহারে তামাকচাষে ব্যবহৃত হওয়ায় খাদ্য-ফসলের জমি ক্রমশ কমছে। এসব জমিতে খাদ্য ফলানো গেলে লাখো মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তার সংকট বহুলাংশেই মোকাবেলা সম্ভব।

তামাক চাষিদের বিকল্প হিসেবে খাদ্য-ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত করতেই এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘গ্রো ফুড, নট টোব্যাকো’। তামাক উৎপাদনে করপোরেট কোম্পানিগুলোর কূটকৌশল উন্মোচনও এবারের বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের অন্যতম লক্ষ্য।

বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর প্রায় ৬০ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ তামাক। ধূমপানের পরোক্ষ ধোঁয়ার প্রভাবে প্রায় ৬ লাখ অধূমপায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে।

বাংলাদেশে মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের প্রধান চারটি কারণের একটি তামাক। তামাকজনিত অসুস্থতায় প্রতি বছর ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায়।

বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগের চিকিৎসা ব্যয় ও ভুক্তভোগীদের কর্মক্ষমতা হ্রাসের আর্থিক ক্ষতিও ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা।

তামাকের এসব ক্ষতিকর দিক বিবেচনা করেই তামাক নিয়ন্ত্রণকে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের অন্তর্ভুক্ত (টার্গেট ৩এ) করেছে জাতিসংঘ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ১৯৮৭ সালে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস চালু হয়।