যুক্তরাষ্ট্র: ২০২৭ সালে তাইওয়ান দখলের পরিকল্পনা করছে চীন

চীন ২০২৭ সালে তাইওয়ান দখল করার পরিকল্পনা করছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, এ ধরনের যেকোনো প্রচেষ্টা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং বিশ্বের জন্য ধ্বংসাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। শনিবার (৩০ মে) সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত সাংগ্রি-লা সংলাপে দেওয়া ভাষণে তিনি এই সতর্কবার্তা দেন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্ষিক প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ফোরাম।

চীন ও তাইওয়ানের পতাকা

হেগসেথ এই অঞ্চলে মার্কিন মিত্রদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি যে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার সেনাবাহিনীকে ২০২৭ সালের মধ্যে তাইওয়ান আক্রমণের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। পিএলএ (পিপলস লিবারেশন আর্মি) এটি করার জন্য ভয়াবহ গতিতে প্রয়োজনীয় সক্ষমতা তৈরি করছে। পিএলএ প্রতিদিন এর জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।'  

তিনি আরও বলেন, ‘চীন যে হুমকি তৈরি করেছে তা বাস্তব এবং এটি  খুব তাড়াতাড়ি ঘটতে যাচ্ছে। কিন্তু আমি আবারও স্পষ্ট করে বলতে চাই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ চায় না। আমরা চীনকে আধিপত্য বিস্তার করতে বা গলা টিপে হত্যা করতে চাই না। আমরা চীনকে অপমান করতে চাই না।’

তিনি যোগ করেন, ‘আমরা চীনের শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন চাই না বরং আমরা শান্তি চাই। কিন্তু আমাদের নিশ্চিয়তা দিতে হবে যে চীন আমাদের  অথবা আমাদের মিত্র এবং অংশীদারদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে না।'’  

এদিকে দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিং তার প্রতিবেশীদের হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি জানান, ওয়াশিংটন চীনের কর্মকাণ্ড নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।  

তিনি বলেন, 'চীন এশিয়া অঞ্চলকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। তবে দক্ষিণ চীন সাগরে বলপ্রয়োগ বা বলপ্রয়োগের মাধ্যমে স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের যেকোনো একতরফা প্রচেষ্টা অগ্রহণযোগ্য।'    

হেগসেথ এশীয় ও ইউরোপীয় মিত্রদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আজ আমরা যে বিপদ এবং হুমকির মুখোমুখি হচ্ছি তার কথা মাথায় রেখে আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় নির্ধারণ করতে হবে।’

তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন সামরিক বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে তুলছেন এবং  এই লক্ষ্যে আগামী বছর প্রতিরক্ষা খাতে ১ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ ব্যয়ের প্রস্তাব করেছেন। 

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি