মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি জানিয়েছেন, চীন এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং
মঙ্গলবার (১৭ জুন) কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় পাঁচটি মধ্য এশীয় দেশের সঙ্গে এক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে শি জিনপিং প্রথমবারের মতো এই বিষয়ে পাবলিক মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, চীন এমন কোনো পদক্ষেপের বিরোধিতা করে যা অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও ভৌগলিক অখণ্ডতায় হস্তক্ষেপ করে। সকল পক্ষকে এখনই সংঘাত প্রশমনে এগিয়ে আসতে হবে এবং পরিস্থিতিকে আরও অবনতির দিকে ঠেলে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি-তে তার বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, চীন শান্তি ফেরানোর জন্য আন্তর্জাতিকভাবে মধ্যস্থতার উদ্যোগ নিতে প্রস্তুত।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েল ও ইরান উভয় দেশ থেকেই চীনা নাগরিকদের অব্যাহত যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে। যুদ্ধ পঞ্চম দিনে গড়ালেও এখনও সংঘাত প্রশমনের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চীন যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েল, ইরানসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখেছে এবং যুদ্ধ থামাতে প্রভাবশালী দেশগুলোকেও দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
তবে কোন দেশগুলোকে প্রভাবশালী বলে ইঙ্গিত করা হয়েছে, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ইসরায়েলে অবস্থিত চীনা দূতাবাস দেশটিতে অবস্থানরত চীনা নাগরিকদের তড়িঘড়ি করে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
তবে দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্তমানে ইসরায়েলি আকাশসীমা বন্ধ রয়েছে এবং দেশটির সরকার ৩০ জুন পর্যন্ত জাতীয় জরুরি অবস্থা বাড়িয়েছে। ফলে সরাসরি বিমানে যাতায়াত এখনই সম্ভব নয়। নাগরিকদের জর্ডানের ভূমি সীমান্ত দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ইরানেও চীনা দূতাবাস একই ধরনের এভাকুয়েশন নোটিশ জারি করেছে। জানানো হয়, তেহরান থেকে ৭৬০ থেকে ৯১০ কিলোমিটার দূরত্বে থাকা সীমান্ত দিয়ে তুরস্ক, আর্মেনিয়া বা তুর্কমেনিস্তানে প্রবেশ করে সেখান থেকে দেশে ফেরার ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
ইরানের সীমান্তও যে কোনো সময় বন্ধ হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।