কারা ফটকে নোবেলের বিয়ে, দেনমোহর ১০ লাখ

অবশেষে কারাফটকে বিয়ে সারলেন সংগীতশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেল। যৌন নির্যাতনের অভিযোগে কারাবন্দি নোবেলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে মামলার বাদী টাঙ্গাইলের মেয়ে ইসরাত জাহান প্রিয়ার। আদালতের অনুমতিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

সঙ্গীত অঙ্গনে সম্ভাবনাময় শিল্পী নোবেল

ভারতীয় বাংলা চ্যানেল জি বাংলার সারেগামাপা দিয়ে সঙ্গীত অঙ্গনে পরিচিত হয়ে ওঠেন নোবেল। সংগীতাঙ্গনে সম্ভাবনাময় এই শিল্পীর ব্যক্তিগত জীবনে ঘটে চলেছে একের এক ঘটনা, যা তাকে ফেলেছে সমালোচনার মুখে।

সর্বশেষ চলতি বছরের ২০ মে থেকে নারী নিপীড়ন মামলায় কারাগারে আছেন নোবেল। ডেমরার বাসায় সাত মাস ধরে আটকে রেখে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে নোবেলের বিরুদ্ধে।

যদিও আদালতে নোবেল দাবি করেন, অভিযোগকারী তার স্ত্রী এবং তার সাথে কোনো জোরজবরদস্তি করেননি। তবে সেদিন বিয়ের কোনো কাবিননামা আদালতকে দেখাতে পারেননি নোবেলের আইনজীবী।

শেষপর্যন্ত গায়ক নোবেলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং মামলার বাদীর সম্মতিতে বুধবার তাকে বিয়ে করার অনুমতি দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার।

নোবেলের আইনজীবী জসীম উদ্দিন জানান, আসামি নোবেল আদালতে লিখিতভাবে বিয়ে করার অনুমতি চান। এসময় যৌন নির্যাতন মামলার বাদী ইসরাত জাহান প্রিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার কারাফটকে উভয়ের সম্মতিতে বিয়ে হয়।

আইনজীবী জসীম উদ্দিন আরও জানান, কারা ফটকে নোবেল ও প্রিয়ার বিয়েতে সাক্ষী হিসেবে দুজনের ঘনিষ্ঠজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাজমা হোসেন, সাবিহা তারিন, খলিলুর রহমান ও সাদেক উল্লাহ ভূঁইয়া। বিয়ের দোনমোহর ধরা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।

নোবেলের বিরুদ্ধে এর আগেও নারী নির্যাতনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রথম এই ধরনের মামলা হয় ২০১৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। সে সময় চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার এক তরুণী তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।

ওই মামলার রেশ না কাটতেই একই বছরের ১৫ নভেম্বর সালসাবিল মাহমুদ নামে এক নারীকে ভালোবেসে বিয়ে করেন গায়ক নোবেল। তবে সেই সংসার টেকেনি নোবেলের। দুজনের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ ও তা নিয়ে ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাস দেওয়ার ঘটনা ঘটে। দুজনই একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে গণমাধ্যমের শিরোনাম হন। বনিবনা না হওয়ায় একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ঘটে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহবিচ্ছেদ।