রাষ্ট্র সংস্কার ইস্যুতে একটি জাতীয় সনদ (চার্টার) তৈরির লক্ষ্যে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ম্যারাথন আলোচনা চলছে। সূচনা বৈঠক হয়েছে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আনুষ্ঠানিকভাবে সেদিন সংলাপ উদ্বোধন করেন।

july charterপ্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), গণসংহতি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ সক্রিয় ৩৩টি দল ও জোটের নেতারা আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ, ১৪ দলীয় জোট এবং মিত্র জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে এই সংলাপ আয়োজনে আমন্ত্রিত দলগুলোর সঙ্গে পৃথকভাবেও আলোচনা চালিয়েছে কমিশন।

দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে গত বছরের অক্টোবরে ৬টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছিল অন্তর্বর্তী সরকার। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কমিশনগুলো তাদের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেয়। ওইসব প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিভিন্ন খাতে মোট ১৬৬টি সংস্কার প্রস্তাব ওঠে এসেছে। এসব সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে বিরতি দিয়ে দিয়ে প্রথম ধাপের আলোচনা চলে ১৯ মে পর্যন্ত।

yunus bnpপ্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি নেতারা

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা শুরু হয় ২ জুন। একদিন বৈঠক শেষে পবিত্র ঈদ-উল-আজহার পরে দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ঐকমত্য কমিশন। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে ১৭ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত আলোচনা হয়। মাঝে শুক্রবার বাদ দিয়ে ২১ ও ২২ জুন আলোচনা চলে ‘প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মেয়াদ’ নিয়ে।

সংস্কার প্রস্তাবে আলোচনা হচ্ছে ১৬৬টি ইস্যু নিয়ে। এরমধ্যে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের মতো বহু বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলেও সর্বশেষ আলোচ্য বিষয় বিশেষ করে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, রাষ্ট্রের মূলনীতি, সংসদে নারী আসন, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণসহ মৌলিক বিষয়গুলোতেই মতপার্থক্য বেশি দেখা যাচ্ছে।

সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি):

রাষ্ট্রীয় কার্যাবলিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আনা, রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক পদগুলোতে নিয়োগে স্বচ্ছতা এবং রাষ্ট্রীয় অঙ্গ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ভারসাম্য নিশ্চিত করতে এনসিসি গঠন প্রয়োজন। এনসিসিতে থাকবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, নিম্নকক্ষের স্পিকার, উচ্চকক্ষের স্পিকার, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি, বিরোধী দল মনোনীত নিম্নকক্ষের ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দল মনোনীত উচ্চকক্ষের ডেপুটি স্পিকার এবং প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতার রাজনৈতিক দলের বাইরে থেকে উভয় কক্ষের কোনও একজন সংসদ সদস্য।

কয়েকটি শর্তে জামায়াত, এনসিপিসহ অধিকাংশ দল এনসিসি গঠনে একমত হলেও এর বিরোধিতা করেছে গণফোরাম ও বিএনপি। গণফোরামের দাবি, এটি আরেকটি ‘স্বৈরতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান’ হয়ে উঠবে এবং বিএনপি এনসিসির জবাবদিহি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন:

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনায় অধিকাংশ দল ইলেকটোরাল পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পক্ষে হলেও, বিএনপি বিদ্যমান সংসদ সদস্যদের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পক্ষে। এ ব্যাপারে সংস্কার কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ বলেন, সংবিধানে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের যে বিধান ৪৮ এর ১ অনুচ্ছেদ আছে, সেটি পরিবর্তনের বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। তবে পদ্ধতি কী হবে, সেটি নিয়ে আরও আলোচনা হবে।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদ্ধতি পরিবর্তনের সঙ্গে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার ব্যাপারটি জড়িত, তাই সেই বিষয়টিও আমরা আলোচনা করেছি। দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার ব্যাপারে প্রায় সবাই উচ্চকক্ষে ১০০ আসনের বিষয়ে একমত হয়েছেন। কিন্তু, এসব বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরো বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে৷

প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ:

এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন- সংবিধানে এমন বিধান যুক্ত করার বিষয়ে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বেশির ভাগ দল একমত হয়েছে। তবে বিএনপিসহ তিনটি দলের আপত্তি থাকায় এ বিষয়ে ঐকমত্য হয়নি।

প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে আলোচনায় দুই মেয়াদের বেশি একজন প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না- এমন মত দেয় অধিকাংশ দল। তবে বিএনপির বক্তব্য, দুইবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর একবার বিরতি দিয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন একজন ব্যক্তি।

ভিন্নমত তুলে ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, একটি পপুলার মতামত এসেছে ১০ বছর। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের সঙ্গে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি), সংসদের উচ্চকক্ষ গঠিত হলে তার কাজ কী হবে, এসব বিষয় সম্পর্কিত। এগুলো একসঙ্গে প্যাকেজ আকারে আলোচনা করা উচিত।

অন্যদিকে দুই বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না রাখার কারণ হিসেবে এনসিপির হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা দেখেছি, যখন রাষ্ট্রের অন্যান্য অংশগুলো বুঝে যায় একজনই রাষ্ট্রের প্রধান হবে, তখন ক্ষমতা এককেন্দ্রিক হয়ে যায়।’

সংবিধানের মূল নীতি:

বর্তমান সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি চারটি- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। তবে সংবিধান সংস্কার কমিশন মূলনীতি হিসেবে ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে।

মূলনীতি ইস্যুতে বামপন্থী দলগুলো বিদ্যমান চার মূলনীতি অক্ষুণ্ন রেখে সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা যুক্ত করার পক্ষে মত দিয়েছে। অনেক দল আবার বিদ্যমান চার মূলনীতি বাদ দিয়ে এগুলো প্রতিস্থাপন করার পক্ষে। তবে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর প্রস্তাব হচ্ছে, মূলনীতিতে ‘মহান আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস’ যুক্ত করা হোক। তারা ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দেওয়ার পক্ষে।

এ ক্ষেত্রে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে যেভাবে মূলনীতি ঠিক করা হয়েছিল, তারা তার পক্ষে। এর সঙ্গে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ন্যায়বিচার যুক্ত করতে আপত্তি নেই।

দলের অবস্থান তুলে ধরে জামায়াতে ইসলামীর নেতা হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, জনমতকে প্রাধান্য দিয়ে ‘আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস’ এটিও রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতি ও সংবিধানের প্রস্তাবনায় যুক্ত করার পক্ষে তারা।

বিদ্যমান সংবিধানকে ‘মুজিববাদী’ আখ্যা দিয়ে এনসিপির জাবেদ রাসিন বলেন, এই চার মূলনীতি রেখে আলোচনা চলতে পারে না।

যদিও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে সংবিধান। এই সংবিধানের চার মূলনীতি বাদ দিয়ে এখন অন্য কিছু গ্রহণ করা ঠিক হবে না।

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ:

বাংলাদেশের সংবিধানের ৭০ নং অনুচ্ছেদে জাতীয় সংসদে স্বাধীন ভোটাধিকার সীমিত করা হয়েছে। এই অনুচ্ছেদটি সংসদ সদস্যদের তাদের নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়া থেকে বিরত রাখে। অর্থাৎ সংসদ সদস্যরা যে রাজনৈতিক দলের মনোনয়নে নির্বাচিত হয়েছেন, সেই দলের প্রস্তাবিত যেকোনো নীতি বা সিদ্ধান্ত অকপটে মেনে নিতে বাধ্য করে ৭০ অনুচ্ছেদ। আলোচিত ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে দলগুলোর মধ্যে ‘আস্থা ভোট’ এবং ‘অর্থ বিল’ বাদে অন্য কোনও বিষয়ে নিজ দলের বিরুদ্ধে ভোটদানে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতার বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে। তাতে তাদের সংসদ সদস্য পদ বাতিল হবে না।

নারী আসন:

বর্তমানে সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন ৫০টি। তবে এই আসনগুলোতে সরাসরি নির্বাচন হয় না। সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর অর্জিত আসন সংখ্যার অনুপাত অনুযায়ী, নির্দিষ্ট সংখ্যক নারী প্রার্থীকে আসন প্রদান করে রাজনৈতিক দলগুলো।

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন সংসদে মোট আসন ৪০০ এবং নারী আসন ১০০ করার সুপারিশ করেছে। অর্থাৎ সংসদের এক-চতুর্থাংশ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা এবং এসব আসনে সরাসরি নির্বাচনের সুপারিশ করেছে । ১০০টি নারী আসনে সরাসরি ভোটের বিষয়ে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল একমত প্রকাশ করেছে। কিন্তু নির্বাচন পদ্ধতি কেমন হবে তা নিয়ে মতানৈক্য আছে। এছাড়া নারীদের জন্য আলাদা আসনের বিষয়ে ধর্মীয় দলগুলোর দ্বিমত রয়েছে। তারা নারী-পুরুষ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিশ্বাসী।

চূড়ান্ত ঐকমত্য নেই কোনো বিষয়েই:                                                                 

এদিকে ১৭ জুন থেকে ২২ জুন পর্যন্ত টানা পাঁচ দিনের আলোচনায় দলগুলোর মধ্যে তেমন কোনও ঐকমত্য আসেনি মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টি’র (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। তিনি বলেন, ব্যাপক আলোচনা-বিশ্লেষণ চলছে, কিন্তু কোনও বিষয়েই ঐকমত্য হচ্ছে না। ইতোমধ্যে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদসহ কোনও বিষয়েই চূড়ান্ত ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি। এটি খুবই দুঃখজনক।

ঐকমত্য না হলে কী হবে?

দলগুলোর মধ্যে সংস্কার নিয়ে নানা বিভক্তির প্রশ্নে বিএনপিসহ কয়েকটি দল বলছে, যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে, সেগুলো নিয়েই সংস্কার চূড়ান্ত করে জুলাই সনদ হতে হবে।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যেগুলো ঐকমত্য হবে, সেগুলো নিয়েই এগুতে হবে। সবাই তো সব বিষয়ে একমত হবে না। যেগুলোতে বিরোধীতা থাকবে, সেগুলো নিয়ে তো আমরা কেউ কাউকে বাধ্য করতে পারিনা। একমতের ইস্যুগুলো নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, মৌলিক বিষয়ে সংস্কার হলে তখনই তার দল জুলাই সনদের দলিলকে সমর্থন করবে। মৌলিক বিষয়ে সংস্কার হলেই আমরা এই দলিলকে সমর্থন করবো বা এই প্রক্রিয়ায় যাবো। তখন আমাদের কোনো ছাড় দিতে হলে সেটা আমরা চিন্তা-ভাবনা করবো। কিন্তু মৌলিক বিষয় ছাড়া অগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐকমত্য হলে সেগুলো দিয়ে শাসন ব্যবস্থার বা রাষ্ট্রকাঠামোর কোনো পরিবর্তন হবে না। আমরা সেটাকে মৌলিক সংস্কারও বলতে পারবো না।

সমাধান হিসেবে জামায়াতে ইসলামী বলছে, যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না, সেগুলো নিয়ে গণভোটের মাধ্যমে সমাধান খুঁজতে হবে।

দলটির নেতা হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, যেসব ইস্যুতে ঐকমত্য হবে সেগুলো নিয়ে সনদ হতে পারে। কিন্তু যেগুলো নিয়ে মতপার্থক্য থাকবে, সেগুলো তো ফেলে রাখা যাবে না। তখন গণভোটে দিতে হবে। গণভোটে জনগণের রায়ের ভিত্তিতে একটা সেটেলমেন্ট আসবে। জনগণ যে প্রস্তাবে রায় দেবে, সেটা জুলাই সনদের জন্য গ্রহণ করা যাবে।

আরেকটু ছাড় দেওয়ার আহ্বান ড. আলী রীয়াজের:

সর্বশেষ ২২ জুন আলোচনার প্রারম্ভিক বক্তব্যে জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অমীমাংসিত বিষয়গুলোতে ঐকমত্য গঠনের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে কিছুটা ছাড় দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের উদ্দেশে আলী রীয়াজ বলেন, অনেকটা এগিয়ে এসেছেন, আরেকটু আগান। আরেকটু এগোলেই দ্রুত জুলাই সনদ করতে পারি আমরা। কোন জায়গায় আমরা একমত হতে পারি, কোন জায়গায় আমরা কতদূর এগিয়ে যেতে পারি, সেটা ভেবে আপনারা একটু ছাড় দেওয়ার জায়গায় আসুন।

আজ ২৩ জুন ও আগামীকাল ২৪ জুন বিরতি দিয়ে ফের ২৫ জুন (বুধবার) রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের।

সংস্কার সনদ বাস্তবায়ন কি আদৌ সম্ভব?

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের একাধিক সূত্র বলছে, আগামী জুলাইতে তৈরি করা সম্ভব হবে দেশ সংস্কারের জুলাই সনদখ্যাত জাতীয় সনদ। জাতীয় নির্বাচনের জন্য ন্যূনতম সংস্কার ও দীর্ঘ মেয়াদে সংস্কার, এই দুই ভাগে ভাগ করে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালানো হবে।

জাতীয় নির্বাচনের আগে কোন কোন বিষয়ে ন্যূনতম সংস্কার করতে হবে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে তা ঠিক করে বাস্তবায়ন করা হবে। আর দীর্ঘ মেয়াদে সংস্কারের বিষয়গুলোও একইভাবে আলোচনা ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে চূড়ান্ত করা হবে। নির্বাচিত সরকার এসে তা বাস্তবায়ন করবে।

নির্বাচিত সরকার সংস্কারের জায়গা থেকে যাতে সরে না যায়, সেজন্য দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে সনদ তৈরির চেষ্টা থাকবে, সেখানে থাকবে সব দলসহ অংশীজনদের সংস্কার বাস্তবায়নের অঙ্গীকার।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.