বাণিজ্য চুক্তি: চীনের পর এবার ভারতের দিকে নজর ট্রাম্পের

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বুধবার চীনের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের এক অনুষ্ঠানে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, তবে চুক্তির বিস্তারিত বিবরণ এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (ডানে) ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

হোয়াইট হাউসে ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ নামক একটি বিল বিষয়ক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় ট্রাম্প বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা তো গতকালই চীনের সঙ্গে চুক্তি করেছি, তাই না? চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়ে গেছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই চুক্তির মাধ্যমে আমরা চীনের বাজার উন্মুক্ত করতে শুরু করেছি। এমন সব ঘটনা ঘটছে যা আগে কখনো সম্ভব ছিল না।’

এই চুক্তি স্বাক্ষরের পূর্বে চলতি মাসের শুরুতে শুল্ক সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য মার্কিন ও চীনা কর্মকর্তারা লন্ডনে বৈঠক করেছিলেন। উল্লেখ্য, গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্র চীন থেকে আমদানি করা বিভিন্ন পণ্যের ওপর উল্লেখযোগ্য পরিমাণে শুল্ক আরোপ শুরু করে। তবে মে মাসে উভয় দেশ একটি সমঝোতায় আসে এবং প্রাথমিক ৯০ দিনের জন্য শাস্তিমূলক শুল্ক ব্যাপকভাবে প্রত্যাহারে সম্মত হয়।

চীনের পর এবার ভারতের সঙ্গেও একটি বড় বাণিজ্য চুক্তির ইঙ্গিত দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমরা চমৎকার সব চুক্তি করছি। সামনে আরও একটি চুক্তি আসছে, সম্ভবত ভারতের সঙ্গে, যা হবে বেশ বড় একটি চুক্তি। এর মাধ্যমে আমরা ভারতের বাজারও উন্মুক্ত করতে যাচ্ছি।’

ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশ থেকে আরোপিত শুল্ক বাবদ ৮৮ বিলিয়ন ডলার আদায় করেছে। তিনি বলেন, ‘এটা কি দারুণ ব্যাপার নয়? ৮৮ বিলিয়ন ডলার!’

অনুষ্ঠানে রিপাবলিকান দলের কর ও ব্যয় হ্রাস সংক্রান্ত একটি আইনের প্রচার করার সময় ট্রাম্প ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’কে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আইন’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, এই আইনটি ‘আমেরিকার সীমান্ত সুরক্ষিত করবে, অর্থনীতিকে বেগবান করবে এবং আমেরিকান স্বপ্নকে ফিরিয়ে আনবে।’

গত মাসে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে সামান্য ব্যবধানে বিলটি পাশ হওয়ার পর, সিনেটের রিপাবলিকান সদস্যরা এখন এটিতে কিছু পরিবর্তন এনে পাশ করানোর জন্য দ্রুত কাজ করছেন। এরপর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বিলটি পুনরায় নিম্নকক্ষে পাঠানো হবে।

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলাইন লেভিট সাংবাদিকদের জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগামী ৪ জুলাইয়ের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিলটিতে স্বাক্ষর করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, ৪ জুলাইয়ের মধ্যেই বিলটি প্রেসিডেন্টর স্বাক্ষরের জন্য তার দপ্তরে পৌঁছাবে।’