ইসরায়েলকে স্বীকৃতি নয়, আরব দেশগুলোকে ঢাকার বিক্ষোভ থেকে আহ্বান

ইরানের সাম্প্রতিক হামলাকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ হিসেবে উল্লেখ করে আগ্রাসী ইসরায়েলকে স্বীকৃতি না দিতে এবং তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্কে না জড়াতে আরব দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ। শুক্রবার বাদ জুমা রাজধানী ঢাকার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই আহ্বান জানানো হয়।

ছবি - সংগৃহীত

সংগঠনটি বলছে, ইসরায়েল বিরোধী এই বিজয়ের পর ফিলিস্তিন, আরাকান ও কাশ্মিরের মুসলমানদের মুক্তির জন্য মুসলিম বিশ্বের সম্মিলিতভাবে লড়াই করা উচিত।

জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানান। মোহাম্মদ শামসুদ্দীন বলেন, ‘ইসরায়েল বিনা উস্কানিতে ইরান ও গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে যুদ্ধাপরাধ করেছে। তারা জেনেভা কনভেনশন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করে বিশ্বশান্তি বিনষ্ট করছে।"’তিনি গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের দাবি জানান।

সমাবেশে যুগ্ম আহ্বায়ক সাইয়েদ কুতুব বলেন, ‘শান্তিময় পৃথিবীকে অস্থিতিশীল করতে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের উপর গণহত্যা চালাচ্ছে এবং জাতিসংঘের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ইরান, ইয়েমেন ও লেবাননে হামলা করেছে। তবে ইরানের পাল্টা হামলায় সন্ত্রাসী অবৈধ রাষ্ট্র উল্টা ধরাশায়ী হয়ে যায়।" তিনি আরও বলেন, যুদ্ধবিরতি হলেও ইরানের উচিত ছিল গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার ও ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা বন্ধের শর্ত দেওয়া।

বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ জানান, বিশ্বের নির্যাতিত মুসলিমদের পক্ষে তারা প্রতি শুক্রবার বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করে আসছেন। তাদের মূল লক্ষ্য একটি ‘মুসলিম ইউনিয়ন’ গঠন করে নির্যাতিত মুসলিম অঞ্চলগুলোর স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

সমাবেশে বক্তারা আরাকান ও কাশ্মিরে চলমান দমন-পীড়নের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হন এবং এটিকে ঈমানি দায়িত্ব বলে উল্লেখ করেন। এ সময় জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।