ইয়েমেনে ইসরায়েলি বিমান হামলা, লক্ষ্যবস্তু তিন বন্দর ও বিদ্যুৎকেন্দ্র

ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত তিনটি বন্দর, একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও একটি জাহাজে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সোমবার (৭ জুলাই) ভোরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে। গত এক মাসে ইয়েমেনে এটিই ইসরায়েলের প্রথম সরাসরি হামলা। আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

হোদাইদার একটি বন্দর

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, হোদাইদা, রাস ইসা ও সালিফ বন্দরের পাশাপাশি রাস কানতিব বিদ্যুৎকেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। হুথি বাহিনীর পক্ষ থেকে ইসরায়েলের ওপর চলমান আক্রমণের জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

এছাড়া, ২০২৩ সালের শেষ দিকে হুথিদের দখলে নেওয়া ‘গ্যালাক্সি লিডার’ নামের একটি জাহাজেও হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, হুথিরা জাহাজটিতে একটি রাডার ব্যবস্থা স্থাপন করেছিল। এটি ব্যবহার করে তারা আন্তর্জাতিক জলসীমায় চলাচলকারী জাহাজগুলোতে নজরদারি চালাত, যা তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সহায়তা করছিল।

এদিকে, হুথি-নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশন জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তিনটি বন্দরের বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার সতর্কতা জারির পরপরই হোদাইদায় একের পর এক বিমান হামলা চালানো হয়।

ইসরায়েলি হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে লোহিত সাগরে হোদাইদা বন্দরের কাছে একটি বাণিজ্যিক জাহাজ হামলার শিকার হয়। জাহাজটিতে পানি ঢুকতে শুরু করলে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কায় নাবিকেরা সেটি ত্যাগ করেন। যদিও কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি, তবে নিরাপত্তা সংস্থা অ্যামব্রের মতে, জাহাজটির বৈশিষ্ট্য হুথিদের সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তুর সঙ্গে মিলে যায়।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইরান-সমর্থিত হুথিরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েল এবং লোহিত সাগরে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে। তবে তাদের ছোড়া অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে ভূপাতিত করা হয়েছে অথবা সেগুলো লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস হয়ে গেছে। এর আগেও এসব হামলার জবাবে ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে।