ইরাকে গুহায় মিথেন গ্যাসে ৫ তুর্কি সেনার মৃত্যু

ইরাকের উত্তরাঞ্চলে একটি গুহায় অভিযান পরিচালনার সময় মিথেন গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে পাঁচ তুর্কি সেনার মৃত্যু হয়েছে। রোববার তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল, যখন আঙ্কারা কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন পিকেকের (কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি) সঙ্গে চলমান কয়েক দশকের সংঘাতের অবসানে শান্তি আলোচনার পথে হাঁটছে।

{"image_intro":"images\/world\/intro\/intro_5-turkish-soldiers-killed-in-kurdistan.jpg","float_intro":"","image_intro_alt":"","image_intro_caption":"","image_fulltext":"","float_fulltext":"","image_fulltext_alt":"","image_fulltext_caption":""}

ইরাকে তুরস্কের সেনা

তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইরাকের পার্বত্য অঞ্চলে ২০২২ সালের মে মাসে কুর্দি যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত এক সেনার দেহাবশেষ উদ্ধারে গিয়েছিলেন সেনারা। ‘অপারেশন ক্ল লক’ নামের সেই অভিযানে নিহত ওই সেনার দেহ আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারই দেহাবশেষের সন্ধানে একটি গুহায় প্রবেশ করলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “পূর্বে হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহৃত একটি গুহায় অনুসন্ধান অভিযান চালানোর সময় আমাদের ১৯ জন সেনা সদস্য মিথেন গ্যাসের সংস্পর্শে আসেন। তাদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও পাঁচজনকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।”

এই দুর্ঘটনার পর একটি অভাবনীয় ঘটনা ঘটেছে। কুর্দি-সমর্থিত ডিইএম দলের একটি প্রতিনিধিদল তুরস্ক সরকারের সঙ্গে চলমান আলোচনার অংশ হিসেবে সম্প্রতি কারাবন্দি পিকেকে প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ ওজালানের সঙ্গে দেখা করেছেন। সাক্ষাতের পর দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা নিহত তুর্কি সেনাদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “সাক্ষাতের সময় আমরা কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকারের এলাকায় মিথেন গ্যাসে কয়েকজন সেনার প্রাণহানির কথা জানতে পারি। এই ঘটনায় আবদুল্লাহ ওজালান ও আমরা গভীরভাবে শোকাহত। নিহতদের জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করছি এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।”

উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে তুরস্ক ও পিকেকের মধ্যে এই সংঘাত শুরু হয়েছিল এবং এতে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। সম্প্রতি পিকেকে এক বিরল ঘোষণায় তাদের সশস্ত্র সংগ্রাম বন্ধের কথা জানায়, যা শান্তি আলোচনার পথকে প্রশস্ত করেছে।