দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের আশ্বাস, সোহাগ হত্যার বিচার হবে বিশেষ আদালতে

রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার নারকীয় ঘটনায় জড়িতদের বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল শনিবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, সরকার এই পাশবিক হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। এ জন্য মামলাটি ‘দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন, ২০০২’-এর অধীনে স্থানান্তর করা হবে।

গত বুধবার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ঘটে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড। সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনানুযায়ী, সোহাগকে প্রকাশ্যে ইট-পাথর দিয়ে থেঁতলে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করে শরীরের ওপর উঠে লাফিয়ে উল্লাসও করে হামলাকারীরা।

এই পাশবিক হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে পুলিশ এবং ইতোমধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে আইন উপদেষ্টা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আইনের ১০ নম্বর ধারা অনুযায়ী দ্রুততম সময়ে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নিজেদের দলের চার নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করেছে জাতীয়তাবাদী যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি তাদের সাবেক জলবায়ুবিষয়ক সহসম্পাদক রজ্জব আলী ওরফে পিন্টু (মামলার ১৩ নম্বর আসামি) এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম ওরফে লাকিকে (১১ নম্বর আসামি) বহিষ্কার করেছে। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

এছাড়া চকবাজার থানা ছাত্রদলের সদস্যসচিব অপু দাসকে (১৭ নম্বর আসামি) ছাত্রদল এবং কালু ওরফে স্বেচ্ছাসেবক কালুকে (১২ নম্বর আসামি) স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।