কারফিউ চলাকালে গোপালগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযান, আটক ২০

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষ ও সহিংসতার প্রেক্ষাপটে কারফিউ চলাকালে গোপালগঞ্জে যৌথবাহিনীর অভিযানে অন্তত ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মীর মো. সাজেদুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন, বুধবার (১৬ জুলাই) রাত থেকে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকাল পর্যন্ত যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের গোপালগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

তিনি আরও বলেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শহরে সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও পুলিশের টহল চলছে।”

এর আগে বুধবার সকালে এনসিপির গাড়িবহর শহরে ঢোকার পর থেকেই দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে দুপুরে গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের সময় শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে অন্তত চারজন নিহত হন এবং পুলিশসহ আহত হন আরও অনেকে।

এই সহিংস পরিস্থিতির জেরে বুধবার রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শহরে কারফিউ জারি করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

তবে কারফিউ চলাকালেও বৃহস্পতিবার সকালে শহরের কিছু এলাকায় সীমিত আকারে রিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেছে। কিছু দোকানপাট খোলার পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন রাস্তায় পুলিশের গাড়ি টহল দিতে দেখা গেছে। তবে স্বাভাবিক দিনের তুলনায় মানুষজনের উপস্থিতি ছিল খুবই কম।

এনসিপি দাবি করেছে, তাদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা ও সমাবেশে হামলার পেছনে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী ছাত্রলীগের প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে।

তবে সরকারি কোনো পক্ষ এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।