ওয়াশিংটনের কড়া বার্তা: সিরিয়ায় সহিংসতা বন্ধ করুন, নইলে সর্বনাশ

সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ সুয়েদায় দ্রুজ ও বেদুইন গোষ্ঠীর মধ্যে চলমান সংঘাত ‘অবিলম্বে’ বন্ধ করতে এবং আরও নৃশংসতা ঠেকাতে নিরাপত্তা বাহিনীকে কাজে লাগানোর জন্য সিরীয় সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই আহ্বান জানান। রুবিও লিখেছেন, ‘দামেস্কের কর্তৃপক্ষ যদি আইএস (দায়েশ) এবং ইরানের নিয়ন্ত্রণমুক্ত একটি ঐক্যবদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ সিরিয়া অর্জনের কোনো সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে চায়, তবে তাদেরকে অবশ্যই এই বিপর্যয় শেষ করতে সাহায্য করতে হবে। নিরাপত্তা বাহিনী ব্যবহার করে আইএস বা অন্য কোনো উগ্রপন্থী জিহাদি গোষ্ঠীকে ওই এলাকায় প্রবেশ ও হত্যাকাণ্ড চালানো থেকে বিরত রাখতে হবে।’

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, ওয়াশিংটন গত তিন দিন ধরে সুয়েদা প্রদেশের ‘ভয়াবহ ও বিপজ্জনক পরিস্থিতি’ নিয়ে ইসরায়েল, জর্ডান এবং দামেস্কে সিরীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সমন্বয় সাধনে জড়িত রয়েছে।

রুবিও তার পোস্টে কঠোর ভাষায় বলেন, ‘নিরীহ মানুষদের ধর্ষণ ও হত্যার মতো ঘটনা যা সেখানে ঘটেছে এবং এখনও ঘটছে, তা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।’ তিনি আরও যোগ করেন, দামেস্ককে অবশ্যই ‘নৃশংসতার জন্য দোষী সবাইকে, এমনকি তারা নিজেদের বাহিনীর সদস্য হলেও, জবাবদিহিতার আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’

উল্লেখ্য, গত ১৩ জুলাই সুয়েদা প্রদেশে বেদুইন আরব উপজাতি এবং সশস্ত্র দ্রুজ গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে এই সহিংসতা তীব্র আকার ধারণ করে এবং ইসরায়েলও বিমান হামলা চালায়। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে দ্রুজ জনগোষ্ঠীকে রক্ষার কথা বলা হলেও তাদের হামলায় দামেস্কে সিরীয় সামরিক স্থাপনা ও অবকাঠামোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

কয়েক দিনের অস্থিরতার পর শনিবার সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি কার্যালয় প্রদেশটিতে একটি পূর্ণাঙ্গ ও অবিলম্বে কার্যকর যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়।

প্রসঙ্গত, প্রায় সিকি শতক ধরে সিরিয়া শাসন করার পর বাশার আল-আসাদ ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর রাশিয়ায় পালিয়ে যান। এর মাধ্যমে ১৯৬৩ সাল থেকে চলা বাথ পার্টির কয়েক দশকের শাসনের অবসান ঘটে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে রাষ্ট্রপতি আহমাদ আল-শারার নেতৃত্বে একটি নতুন অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন গঠিত হয়।