হঠাৎই ইস্তফা দিলেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি

শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হঠাৎই পদত্যাগ করলেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। সোমবার (২১ জুলাই) রাতে তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন। চিকিৎসকদের পরামর্শে ‘স্বাস্থ্যসেবাকে অগ্রাধিকার’ দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

পদত্যাগপত্রে ধনখড় উল্লেখ করেন, সংবিধানের ৬৭(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তার এই পদত্যাগ অবিলম্বে কার্যকর হবে। রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এবং সংসদের সব সদস্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তার কথায়, ‘উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় যে সহযোগিতা ও আস্থা আমি পেয়েছি, তা আমার স্মৃতিতে চিরকাল অমলিন থাকবে।’

চিঠিতে তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করা এবং তাতে অংশ নিতে পারা ছিল আমার জন্য সৌভাগ্যের। উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে দেশের রূপান্তরমূলক সময়কালে কাজ করতে পারা আমার কাছে সম্মানের বিষয় ছিল।’

২০২২ সালের আগস্টে উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন জগদীপ ধনখড়। বিরোধী প্রার্থী মার্গারেট আলভাকে হারিয়ে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগে ২০১৯ সাল থেকে তিনি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সে সময় রাজ্য সরকারের সঙ্গে তার টানাপোড়েন বিভিন্ন বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল।

ধনখড় দীর্ঘদিন আইনজীবী হিসেবে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত ছিলেন। রাজস্থানের ঝুনঝুনু লোকসভা কেন্দ্র থেকে ১৯৮৯ সালে জনতা দলের টিকেটে নির্বাচিত হয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। পরে বিধানসভা নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। ২০০৩ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন।

৭৪ বছর বয়সি ধনখড় চলতি বছরের মার্চে বুকে ব্যথা নিয়ে দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সে সময় তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (সিসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর থেকেই তার শারীরিক জটিলতা বাড়ছিল বলে জানা গেছে।

তবে সোমবার সকালেও তিনি রাজ্যসভার অধিবেশন পরিচালনা করেছিলেন। কিন্তু রাতে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।