স্টারলিংকের বিপর্যয়: বিশ্বজুড়ে সংযোগহীন হাজারো গ্রাহক, ক্ষমা চাইলেন মাস্ক

বিশ্বজুড়ে স্টারলিংকের অন্তর্জাল সেবা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্রাহকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ইলন মাস্ক। বৃহস্পতিবার এই বিপর্যয়ের কারণে হাজার হাজার ব্যবহারকারী ভোগান্তিতে পড়েন। এসময় স্টারলিংকের দাপ্তরিক ওয়েবসাইটটিও সাময়িকভাবে বিকল ছিল।

নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইলন মাস্ক ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে লেখেন, ‘শিগগিরই সেবা পুনরায় চালু হবে। এই বিপর্যয়ের জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। স্পেসএক্স সমস্যার মূল কারণ খুঁজে বের করে সমাধান করবে, যাতে ভবিষ্যতে এমনটি আর না ঘটে।’

অনেক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেন, তাদের স্টারলিংক সংযোগে ‘অবস্থান-ভিত্তিক সীমাবদ্ধতা’ বার্তা দেখাচ্ছিল। একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘আমার সংযোগ এখন অবস্থানগত কারণে সীমাবদ্ধ দেখাচ্ছে। আমি ধরে নিচ্ছি এটি এই বিপর্যয়েরই অংশ? অন্য কেউ কি এমনটা জানাচ্ছেন?’

স্টারলিংকও দাপ্তরিকভাবে সমস্যাটি স্বীকার করে এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আমরা বর্তমানে একটি নেটওয়ার্ক বিভ্রাটের সম্মুখীন এবং এর সমাধানে সক্রিয়ভাবে কাজ করছি। আপনাদের ধৈর্যের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। সমস্যার সমাধান হলে আমরা হালনাগাদ তথ্য জানাব।’

বিভ্রাট পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট ডাউনডিটেক্টরের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে স্টারলিংকের সেবা বন্ধ হওয়ার অভিযোগ আসতে শুরু করে, যা দ্রুতই ব্যাপক আকার ধারণ করে। ক্যালিফোর্নিয়া, নিউ মেক্সিকো এবং নর্থ ডাকোটার বহু ব্যবহারকারী পুরোপুরি সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার কথা জানান।

ক্যালিফোর্নিয়ার পোর্টারভিলের এক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ‘এখানে নেট একদম বন্ধ। দুই ঘণ্টা ধরে সেবা পাচ্ছি না। এমনকি স্টারলিংকের ওয়েবসাইটও খুলছে না। ইলন মাস্ক কি রেগে গিয়ে সব বন্ধ করে দিলেন?’

নিউ মেক্সিকোর এক বাসিন্দা পুরনো অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে লেখেন, ‘গত বছরও ঠিক এই সময়ে একই সমস্যা হয়েছিল। তখনও ঠিক হতে কয়েক ঘণ্টা লেগেছিল। পরে তারা একটি গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল।’ নর্থ ডাকোটার আরেক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘এখানে সেবা বন্ধ। আমার অবস্থান খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে বার্তা দেখাচ্ছে। যখন এটি বন্ধ হয়, তখন পুরো বিশ্বের সঙ্গে আমার সংযোগও বন্ধ হয়ে যায়।’

ভোগান্তির মাঝে এক ব্যবহারকারী রসিকতা করে লেখেন, ‘এখানে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে সেবা বন্ধ। আমি তো ভেবেছিলাম, ইঁদুর আমার তার কেটে দিয়েছে!’