৮টি আইকনিক মসজিদ নির্মাণে বাংলাদেশকে ২৪৪ কোটি টাকা দিচ্ছে সৌদি আরব

বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এক নতুন মাত্রা পেতে যাচ্ছে। দেশের আটটি বিভাগে দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক সুবিধা সংবলিত আটটি আইকনিক মসজিদ নির্মাণের জন্য ২৪৪ কোটি টাকা অনুদান দেবে সৌদি আরব সরকার। সৌদি বাদশাহর পক্ষ থেকে রাজকীয় অনুদান বা ‘রয়্যাল গ্রান্ট’ হিসেবে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ দেওয়া হচ্ছে।

রবিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সঙ্গে এক বৈঠকে এই সুখবরটি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ড. আব্দুল্লাহ জাফর এইচ বিন আবিয়াহ। বৈঠকে ধর্ম উপদেষ্টা জানান, সৌদি সরকারের এই অর্থায়নে মসজিদ নির্মাণের কাজ খুব দ্রুত শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি বিভাগ থেকে মসজিদ নির্মাণের জন্য জমির প্রস্তাবও পাওয়া গেছে এবং বাকিগুলোর জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত আছে।

বৈঠকে দুই দেশের মধ্যেকার গভীর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়। ধর্ম উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, ‘বর্তমানে সৌদি আরবে কর্মরত প্রায় ৩২ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী দেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে বড় ভূমিকা রাখছেন। একইভাবে, সৌদির ‘ভিশন-২০৩০’ বাস্তবায়নেও আমাদের কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আগামীতে আরও শক্তিশালী হবে।

এ বছর বাংলাদেশিদের জন্য হজ ব্যবস্থাপনাকে ‘সুন্দর ও সাবলীল’ উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানান। একইসঙ্গে আগামী বছরের হজ ব্যবস্থাপনাকে আরও উন্নত করতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফায় পর্যাপ্ত ওয়াশরুমের ব্যবস্থা, নিরবচ্ছিন্ন পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং মিনার তাঁবুতে বিছানার আকার বৃদ্ধি করা।

সৌদি রাষ্ট্রদূত ড. আব্দুল্লাহ জাফর সব প্রস্তাব মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং বিষয়টি তার দেশের সরকার ও হজ মন্ত্রণালয়কে জানানোর আশ্বাস দেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে সৌদি আরবের সহযোগিতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।

বৈঠকে হজযাত্রীদের লাগেজে আরএফআইডি ট্যাগ যুক্ত করা এবং ঢাকায় একটি অ্যারাবিক ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউট স্থাপনের মতো দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোও উঠে আসে। এ সময় ধর্মসচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক এবং হজ অনুবিভাগের যুগ্মসচিব ড. মো. মঞ্জুরুল হক উপস্থিত ছিলেন।