আপনি পড়ছেন

ফিলিস্তিনি জাতীয় পরিষদের স্পিকার রাউহি ফাতুহ বুধবার গাজায় ইসরায়েলি ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বিতর্কিত ‘গাজা মানবিক ফাউন্ডেশন’ (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণের সময় বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি এই উদ্যোগকে চলমান ইসরায়েলি হামলার ‘মৃত্যুফাঁদ ও হত্যাকাণ্ডের স্থান’-এ পরিণত হয়েছে বলে আখ্যায়িত করেছেন।

রাউহি ফাতুহ

জেনেভায় জাতিসংঘ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আনাদোলু সংবাদ সংস্থার এক প্রশ্নের জবাবে ফাতুহ বলেন, ‘এই গোষ্ঠীটি গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে আমাদের জনগণকে রসদ ও খাদ্য সহায়তা দেওয়ার জন্য কেন্দ্র স্থাপন করেছে, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, সেগুলো এখন মৃত্যুফাঁদ ও হত্যাকাণ্ডের স্থানে পরিণত হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিন আমরা কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি শহীদকে হারাচ্ছি এবং শত শত আহত হচ্ছেন, যারা যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে যান এবং ওই স্থানগুলো ঘিরে রাখা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে, এবং কখনও কখনও সেখানে অবস্থানরত মার্কিন রক্ষীদের হাতে নিহত হন।’

ফাতুহ অবিলম্বে জাতিসংঘ এবং এর সংস্থাগুলোকে ত্রাণ বিতরণের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি জাতিসংঘের সংস্থাগুলো, বিশেষ করে ইউএনআরডব্লিউএ (ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘ সংস্থা), যাদের ৩৬ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে, তারা আমাদের জনগণের কাছে এই সামগ্রী বিতরণ করবে এবং তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে।’

ফিলিস্তিনি এই নেতা জানান, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ শুরু থেকেই ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত এই গোষ্ঠীর সম্পৃক্ততার বিরোধিতা করেছিল। তিনি বলেন, ‘শুরু থেকেই আমরা দাবি জানিয়েছিলাম যেন এই প্রতিষ্ঠানটিকে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া হয়, কারণ এটি একটি মৃত্যুফাঁদ, একটি বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘গাজা ফাউন্ডেশন তার মানবিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।’ উল্লেখ্য, এই বিতর্কিত গোষ্ঠীর ত্রাণ বিতরণকালে গত মে মাস থেকে এ পর্যন্ত ১,০০০ জনেরও বেশি ত্রাণপ্রার্থী ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ফাতুহ আন্তর্জাতিক রেড ক্রসকে ‘ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের সহযোগিতায়’ গাজার চিকিৎসাগত দায়িত্ব গ্রহণেরও আহ্বান জানিয়েছেন।

যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের স্বীকৃতি ‘সঠিক পথের পদক্ষেপ’

আনাদোলু সংবাদ সংস্থার আরেকটি প্রশ্নের জবাবে রাউহি ফাতুহ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি এটিকে শান্তির জন্য একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ও অপরিহার্য পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেন।

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে আমরা সঠিক পথের একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখছি এবং এটি অবশ্যই করা উচিত।’

এই ধরনের স্বীকৃতি ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসকে পুরস্কৃত করবে এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে ফাতুহ জোর দিয়ে বলেন, ‘যারা দাবি করে যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি হামাসের জন্য পুরস্কার, তা সত্যের পরিপন্থী। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রকৃতপক্ষে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্য পুরস্কার, হামাসের জন্য নয়।’

তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বাকি দেশগুলোকেও এই পথ অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা সকল দেশকে, যারা এখনও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়নি, তাদের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাই, যাতে আমরা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি অর্জন করতে পারি।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি, যা সমগ্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে প্রতিফলিত হবে, তা পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া অর্জন করা যাবে না।’

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.