গণপূর্ত ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের ৬ কর্মকর্তা বরখাস্ত

বিনা অনুমতিতে দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার দায়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের পাঁচজন প্রকৌশলী ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের এক সহকারী স্থপতিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। ‘অসদাচরণ’ ও ‘পলায়ন’ এর অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে এই আদেশ জারি করা হয়।

বুধবার (৩০ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. শাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পৃথক আটটি প্রজ্ঞাপনে বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এতে বলা হয়, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ৪(৩)(ঘ) অনুযায়ী এসব কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

যারা বরখাস্ত হয়েছেন: মনিরুজ্জামান মনি, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (সিভিল)। টরন্টো ইউনিভার্সিটিতে ডক্টরাল প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ শেষে ২০২৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে কর্মস্থলে ফেরেননি। বরখাস্তের তারিখ: ২১ এপ্রিল ২০২৫।

আবদুল্লা আল মামুন, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক্যাল)। পিএইচডি শেষে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। বরখাস্তের তারিখ: ১৫ মে ২০২৫।

মোছা. রাহানুমা তাজনীন, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (সিভিল)। ইউনিভার্সিটি অব ওয়োমিংয়ে পড়াশোনা শেষে ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। বরখাস্তের তারিখ: ২ জুলাই ২০২৫।

ফারহানা আহমেদ, নির্বাহী প্রকৌশলী। রিয়ারসন ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়ন শেষে ২০২২ সালের পর থেকে অনুপস্থিত। বরখাস্তের তারিখ: ৮ জুলাই ২০২৫।

মফিজুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী। ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ফ্লোরিডায় মাস্টার্স শেষে অনুমতি না নিয়ে কর্মস্থলে ফেরেননি। বরখাস্তের তারিখ: ২৭ জুলাই ২০২৫।

শিরাজী তারিকুল ইসলাম, সহকারী স্থপতি (স্থাপত্য অধিদপ্তর)। ২০২২ সালের ১২ মে থেকে অনুপস্থিত। বরখাস্তের তারিখ: ২১ মে ২০২৫।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসব কর্মকর্তার অননুমোদিত অনুপস্থিতি ‘অসদাচরণ’ ও ‘পলায়ন’ হিসেবে গণ্য হয়েছে। বিভাগীয় তদন্তে দোষ প্রমাণিত হওয়ায় সরকারি কর্ম কমিশনের মতামতের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, বরখাস্ত হওয়া প্রকৌশলীরা বিভিন্ন দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষা ছুটি বা প্রেষণে গিয়েছিলেন। ছুটি শেষ হওয়ার পর যথাসময়ে কর্মস্থলে না ফিরে বিদেশেই অবস্থান করতে থাকেন তারা। এর ফলে তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ ওঠে।