পূর্বাচল প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনাসহ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিচার শুরু

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যসহ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতির ছয়টি মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে বহুল আলোচিত এই মামলাগুলোর আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলো। আসামিরা আদালতে উপস্থিত না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিরও আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার দুটি বিশেষ জজ আদালত পৃথকভাবে এই অভিযোগগুলো গঠন করে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এসব মামলার মূল অভিযোগ হলো, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৬০ কাঠা সরকারি জমি বরাদ্দ দেওয়া।

মামলাগুলো দুটি আদালতে ভাগ করে বিচার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম তিনটি মামলার অভিযোগ গঠন করেন, যেখানে শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বোন শেখ রেহানা, ভাগ্নি আজমিনা সিদ্দিক এবং ভাগ্নে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকসহ মোট ৫৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই মামলাগুলোর সাক্ষ্যগ্রহণ আগামী ১৩ আগস্ট থেকে শুরু হবে।

অপরদিকে, বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বাকি তিনটি মামলার অভিযোগ গঠন করেন। এই মামলাগুলোতে শেখ হাসিনার সঙ্গে তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ মোট ৪৭ জন অভিযুক্ত। এসব মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১১ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়েছে।

চলতি বছরের ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে দুদকের তিন কর্মকর্তা—উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া এবং এস এম রাশেদুল হাসান—বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করেন। প্রায় দুই মাস তদন্তের পর গত ১০ মার্চ তদন্ত কর্মকর্তারা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এর আগে, ২০ জুলাই মামলাগুলোর আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু অভিযুক্তরা হাজির না হওয়ায় ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব মামলাগুলো বিচারের জন্য বিশেষ জজ আদালতে স্থানান্তরের আদেশ দেন।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।