হাটহাজারীতে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব: সৌজন্য সাক্ষাতের আড়ালে নির্বাচনী তৎপরতা?

আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর তৎপরতা বাড়ছে। এরই অংশ হিসেবে দেশের অন্যতম বৃহৎ কওমি মাদ্রাসা চট্টগ্রামের হাটহাজারীর আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলামে সফর করেছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে এই ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ করা হলেও এর পেছনে আগামী নির্বাচনে আলেম-ওলামা ও হেফাজতে ইসলামের সমর্থন আদায়ের প্রচেষ্টা স্পষ্ট বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

আজ শুক্রবার দুপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সালাহউদ্দিন আহমদ হাটহাজারী মাদ্রাসায় পৌঁছান। সেখানে তারা হেফাজতে ইসলামের প্রয়াত আমির মাওলানা শাহ আহমদ শফী ও জুনায়েদ বাবুনগরীর কবর জিয়ারত করেন। পরে মাদ্রাসার বর্তমান মহাপরিচালক মুফতি খলিল আহমেদ কাশেমী এবং শায়খুল হাদীস শেখ আহমেদের সঙ্গে এক সৌজন্য বৈঠকে মিলিত হন।

সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনে কোনো প্রতিবন্ধকতা দেখছে না তার দল। তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার পথে কোনো বাধা দেখছি না। যেহেতু বাধা দেখছি না, সেহেতু এটা না–ও হতে পারে, সেই দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই।’ সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত সুস্পষ্ট বক্তব্য এবং নির্বাচন কমিশনকে সে অনুযায়ী পরামর্শ দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

এই সফরে বিএনপির প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মীর হেলাল উদ্দিন, উত্তর জেলা বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির নেতা নূর মোহাম্মদ ও সরোয়ার আলমগীর এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব হেলাল উদ্দিনসহ স্থানীয় নেতারা। বিএনপির নেতারা হাটহাজারী মাদ্রাসায় জুমার নামাজ আদায় করেন এবং সেখানেই মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।

পরে তারা ফটিকছড়ির বাবুনগর মাদ্রাসার উদ্দেশে রওনা হন, যেখানে হেফাজতের বর্তমান আমির মাওলানা শাহ মুহিববুল্লাহ বাবুনগরীর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল হাটহাজারী মাদ্রাসা সফর করে এবং হেফাজতের প্রয়াত নেতাদের কবর জিয়ারত করে। নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এমন সফর হাটহাজারী মাদ্রাসার রাজনৈতিক গুরুত্বকেই তুলে ধরছে।