ছাত্রদলের আগাম দুঃখ প্রকাশ

রবিবার রাজধানী ঢাকায় বড় ধরনের জনদুর্ভোগের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর সেই সম্ভাব্য ভোগান্তির জন্য একদিন আগেই নগরবাসীর কাছে আগাম দুঃখ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থান’ স্মরণে সংগঠনটি আগামীকাল, ৩ আগস্ট, রোববার রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে সমাবেশের ডাক দিয়েছে।

কর্মদিবসে ঢাকার অন্যতম ব্যস্ত একটি মোড়ে রাজনৈতিক সমাবেশের কারণে যে তীব্র যানজট ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হতে পারে, সে বিষয়ে সংগঠনটি পুরোপুরি অবগত। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রদল এই ভোগান্তির বিষয়টি স্বীকার করে নেয় এবং নগরবাসীকে তা সহানুভূতির সঙ্গে দেখার অনুরোধ জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেছে, ‘একটি দায়িত্বশীল ছাত্রসংগঠন হিসেবে ভবিষ্যতে এই বিষয়ে আমরা আরও অধিকতর সচেতন থাকব।’

ছাত্রদলের এই সমাবেশের স্থান নির্ধারণের পেছনেও রয়েছে একটি রাজনৈতিক ছাড়ের ঘটনা। সংগঠনটি জানায়, তারা প্রথমে জাতীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং সে অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিসের অনুমতিও লাভ করেছিল। তাদের ভাষ্যমতে, ওই দিনে শহীদ মিনারে কর্মসূচি পালনের ‘একমাত্র বৈধ দাবিদার’ তারাই ছিল।

কিন্তু জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) একই দিনে শহীদ মিনারে সমাবেশ করার আগ্রহ প্রকাশ করে ছাত্রদলের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপরই ছাত্রদল ‘পরমতসহিষ্ণুতার’ পরিচয় দিয়ে তাদের স্থানটি ছেড়ে দেয় এবং নিজেরা শাহবাগে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

তবে এই ছাড়ের পরও জনভোগান্তির শঙ্কা কমছে না। কারণ একই দিনে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর পাশাপাশি শাহবাগে ছাত্রদল এবং শহীদ মিনারে জাতীয় নাগরিক পার্টি—উভয় সংগঠনই বড় ধরনের লোক সমাগমের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকা মহানগর পুলিশও (ডিএমপি) বসে নেই। রোববার শাহবাগ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন এলাকায় একাধিক কর্মসূচি থাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে বিশেষ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। ডিএমপি কর্তৃপক্ষ এদিন নগরবাসীকে যথাসম্ভব ওই এলাকাগুলো এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে। ফলে ছাত্রদলের আগাম দুঃখ প্রকাশ সত্ত্বেও একটি ভোগান্তিপূর্ণ দিনের জন্যই প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে ঢাকাবাসীকে।