কর্মকর্তাদের অবসর স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, ‘অপপ্রচারে’ বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান আইএসপিআরের

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর খবরকে ‘ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ হিসেবে অভিহিত করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ধরনের বানোয়াট তথ্য ছড়ানোর ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।

আইএসপিআর স্পষ্ট করেছে যে, একটি সংবাদমাধ্যমে উল্লিখিত বিমান বাহিনীর ছয়জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা স্বাভাবিক নিয়মেই চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। বাহিনীটির প্রচলিত বিধি অনুযায়ী চাকরির বয়সসীমা পূর্ণ হওয়ায় তাদের অবসর দেওয়া হয়, যা একটি রুটিন প্রক্রিয়া। এই কর্মকর্তারা হলেন—এয়ার ভাইস মার্শাল এম এ আউয়াল হোসেন, এয়ার ভাইস মার্শাল জাহিদুল সাঈদ, এয়ার কমডোর মোহাম্মদ আমিনুল হক, গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবদুল্লাহ আল ফারুক, গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ শামীম এবং উইং কমান্ডার সাইয়েদ মোহাম্মদ।

একইভাবে, প্রতিবেদনটিতে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট রিফাত আশরাফী ও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তাহসিফ সুরি নামক আরও দুই কর্মকর্তাকে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে অবসরে পাঠানোর যে দাবি করা হয়েছে, তাও সত্য নয় বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই দুই কর্মকর্তাকেও ভিন্ন প্রেক্ষাপটে বিমান বাহিনীর নিজস্ব আইন ও বিধিমালা অনুসরণ করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় অবসর দেওয়া হয়েছে, যার সঙ্গে গোয়েন্দা সংশ্লিষ্টতার কোনো সম্পর্ক নেই।

আইএসপিআর গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায়, এ ধরনের অসত্য প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সামাজিক মর্যাদাকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ করছে। পাশাপাশি, এটি জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির মাধ্যমে জাতীয় স্থিতিশীলতা এবং সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্ব ও ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটি অপপ্রয়াস।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক যে, আইএসপিআরের পক্ষ থেকে সঠিক তথ্য নিশ্চিত করা সত্ত্বেও সংবাদমাধ্যমটি এই অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদনটি প্রচার করেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে, জনমনে বিভ্রান্তি এড়াতে ভবিষ্যতে বিমান বাহিনী সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য প্রকাশের পূর্বে তা আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সঙ্গে যোগাযোগ করে যাচাই করার জন্য সকল গণমাধ্যমকে বিনীতভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।