তেল আবিবে বিক্ষোভ, নেতানিয়াহুর গাজা যুদ্ধ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর গাজা যুদ্ধে নতুন পরিকল্পনার বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে। তারা অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ ও জিম্মিদের মুক্তির দাবি জানায়। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর গাজা যুদ্ধে নতুন পরিকল্পনার বিরুদ্ধে শনিবার রাতে তেল আবিবে হাজারো বিক্ষোভকারী রাস্তায় নামে। তারা অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ ও জিম্মিদের মুক্তির দাবি জানায়।

শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় জানায়, নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা সিটি দখলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা যুদ্ধ আরও সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে সামরিক বাহিনী সতর্ক করেছে, এই পদক্ষেপ জিম্মিদের জীবনের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

বিক্ষোভে অংশ নিয়ে বলেন লিশাই মিরান লাভি, যিনি এক জিম্মির স্ত্রী। তিনি বলেন, এটি শুধু সামরিক সিদ্ধান্ত নয়, এটি আমাদের সবচেয়ে প্রিয় মানুষের জন্য মৃত্যুদণ্ডের সমান হতে পারে।

তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যুদ্ধ অবসানে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানান।

সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, ইসরায়েলের বিপুল সংখ্যক নাগরিক যুদ্ধ অবসান ও অবশিষ্ট প্রায় ৫০ জিম্মির মুক্তির পক্ষে। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা মনে করছেন, এর মধ্যে প্রায় ২০ জন এখনও জীবিত।

শনিবারের বিক্ষোভে অংশ নেন এক লাখেরও বেশি মানুষ, আয়োজকদের দাবি। বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলি পতাকা, জিম্মিদের ছবি ও যুদ্ধবিরতির দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করেন। কয়েকজন ফিলিস্তিনি শিশুদের ছবিও প্রদর্শন করেন, যারা ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে।

গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় দুই বছরের এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৬১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছে অন্তত ৩৯ জন।

সামরিক বাহিনী সতর্ক করেছে, গাজা সম্পূর্ণ দখলের পরিকল্পনা জিম্মিদের জীবনকে আরও ঝুঁকিতে ফেলবে। তবে কিছু ডানপন্থী মন্ত্রী গাজার বড় অংশ দখল ও সংযুক্তির আহ্বান জানাচ্ছেন।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তেল আবিবের এক শিক্ষক তাল (৫৫) বলেন, “যুদ্ধ সম্প্রসারণ ভয়াবহ হবে। এতে আরও সৈনিক ও জিম্মি নিহত হবে। আমাদের সেখানে কিছু করার নেই, ওটা আমাদের নয়।”