প্রতিরক্ষা চুক্তি হচ্ছে না, দিল্লি বলছে সমঝোতার কথা

বাংলাদেশ- ভারতের মধ্যে কোনো প্রতিরক্ষা চুক্তি হচ্ছে না বলে দাবি করেছে নয়া দিল্লি। তবে প্রতিরক্ষা বিষয়ক সমঝোতার কথা স্বীকার করেছে তারা। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শ্রীপিয়া রঙ্গরাথন পশ্চিমবঙ্গের প্রভাবশালীয় একটি সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেছেন এ কথা।

এর আগে বাংলাদেশ বা ভারত; সম্ভাব্য প্রতিরক্ষা চুক্তি বিষয়ে কেউ কোনো কথাই বলেনি। ফলে এই চুক্তি নিয়ে দেখা দিয়েছিলো ধোঁয়াশা। বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলো প্রতিরক্ষা চুক্তিকে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি বলে মনে করছিলো।

প্রতিরক্ষা চুক্তি না করে দিল্লি সমঝোতার পথ কেনো বেছে নিলো কিংবা এই সমঝোতা আসলে কী; সে প্রসঙ্গে রঙ্গরাথন বলেছেন যে, প্রতিরক্ষা বিষয়ে যে সমঝোতা স্বাক্ষরিত হবে, তার ভিত্তি হবে দুটি। প্রথমত, দুই দেশের সামরিক সহযোগিতার একটি সম্মিলিত ‘ফ্রেমওয়ার্ক’ তৈরি করা হবে।

এর মধ্যে থাকবে সেনাপ্রধান পর্যায়ে তথ্য সহযোগিতা, সাধারণ তথ্য সহযোগিতা, সাবমেরিন প্রশিক্ষণ, উপকূলবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা। আর দ্বিতীয় ব্যাপার হলো, ভারত অস্ত্র ও সমর প্রযুক্তি কেনার জন্য ভারতের কাছ থেকে ৫০ কোটি ডলারের ঋণ দিবে। গুঞ্জন আছে, এই সমঝোতার শর্ত হতে পারে, অস্ত্র কিনতে হবে ভারতের কাছ থেকেই।

এ দিকে, ভারত নিজের অস্ত্রই আমদানি করে। সেই ভারত কিভাবে আরেক দেশে অস্ত্র রপ্তানি করবে, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলো বলছে, ভারত আসলে নিজেদের পুরোনো অস্ত্র বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করবে। যদিও এ ব্যাপারে এখনো সুস্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।

হাসিনা সরকার ও দিল্লি চুক্তি বাদ দিয়ে সমঝোতার কৌশল কোনো নিচ্ছে, তা বিশ্লেষণ করতে দেখা যাচ্ছে, মোদি সরকার চায় না হাসিনা সরকার দেশে কোনো চাপের মুখোমুখি হোক। এ ছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের প্রতিরক্ষঅ চুক্তি রয়েছে। এখন ভারতও যদি বাংলাদেশকে প্রতিরক্ষা চুক্তিতে রাজি করে, তাহলে ভারতের উপর চীনের মনোভাব আরো কঠোর হতে পারে। এ রকম একটি কথাই বলা হয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমটিতে।