সমঝোতার পথে হার্ভার্ড ও ট্রাম্প প্রশাসন!

গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি সমঝোতা চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত হওয়ার পথে। নিউ ইয়র্ক টাইমস চারটি অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই সমঝোতার ফলে হার্ভার্ডের জন্য বিলিয়ন ডলারের ফেডারেল গবেষণা তহবিল পুনরুদ্ধার হতে পারে।

নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউস এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিদের মধ্যে রুদ্ধদ্বার আলোচনা হয়েছে এবং তারা সমঝোতার একটি কাঠামো নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। তিনটি সূত্র দাবি করেছে, এই কাঠামোর অধীনে হার্ভার্ড ফেডারেল সরকারের অনুরোধে বৃত্তিমূলক ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম এবং গবেষণার জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে সম্মত হবে। চতুর্থ আরেকটি সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবেলায় তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেবে।

প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, যদি এই সমঝোতা হয়, তাহলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে চলমান তদন্ত বন্ধ করে দেবে। এই চুক্তির মাধ্যমে হার্ভার্ড আবার গবেষণা তহবিলের সুযোগ পাবে এবং ‘মনিটর’ নিয়োগের শর্ত এড়িয়ে যেতে পারবে, যা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাগত স্বাধীনতা রক্ষার যুক্তি দিয়ে বিরোধিতা করে আসছিল।

জানুয়ারি মাসে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন বেশ কয়েকটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে লক্ষ্যবস্তু করেছে। তাদের দাবি, এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক (ডিইআই) নীতি প্রচার করে এমন ‘প্রগতিশীল’ নীতি অনুসরণ করছে, যদিও ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী এই নীতিগুলো বৈষম্যমূলক ও অবৈধ। ট্রাম্প প্রশাসন এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সরকারি তহবিল প্রত্যাহারের হুমকি দিয়েছে।

ট্রাম্প বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভের অনুমতি দেওয়ারও সমালোচনা করেছেন, যার বিরুদ্ধে তার অভিযোগ, এটি ইহুদিবিদ্বেষী; তবে এসব বিক্ষোভ ইহুদিদের বিরুদ্ধে নয়, বরং ইসরায়েল রাষ্ট্রের সমালোচনা করে, এবং অনেক ইহুদিও ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানান।

অন্যদিকে, প্রশাসনকে পাল্টা জবাব দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বলছে, তাদের নিয়ন্ত্রণ করার এই প্রচেষ্টা বাকস্বাধীনতা ও শিক্ষাগত স্বাধীনতার লঙ্ঘন এবং এটি আমেরিকার মূল্যবোধের পরিপন্থী।