গাজা দখলের পরিকল্পনা, ইসরায়েলের তীব্র নিন্দায় উত্তর কোরিয়া

গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান চালিয়ে ভূখণ্ডটি পুরোপুরি দখল করার ইসরায়েলি পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। মঙ্গলবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এই খবর প্রকাশ করেছে।

উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সিকে (কেসিএনএ) দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণভাবে দখল করার জন্য ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার ‘সিদ্ধান্ত’ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের একটি সুস্পষ্ট দৃষ্টান্ত।’

উল্লেখ্য, শুক্রবার ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর গাজা দখলের পর্যায়ক্রমিক পরিকল্পনা অনুমোদন করে। এরপরেই পিয়ংইয়ংয়ের পক্ষ থেকে এই কঠোর প্রতিক্রিয়া এলো।

উত্তর কোরিয়ার মুখপাত্র আরও বলেন, এই সিদ্ধান্ত ‘আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড দখলের বিষয়ে ইসরায়েলের দস্যুসুলভ মনোভাবকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে’। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই উপত্যকা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।

ওই কর্মকর্তা যোগ করেন, পিয়ংইয়ং ‘ভূখণ্ড দখলের মতো ইসরায়েলের এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রত্যাখ্যান করছে, যা গাজা উপত্যকার মানবিক সংকটকে আরও ঘনীভূত করছে এবং মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে চরমভাবে লঙ্ঘন করছে’।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা জোরালোভাবে দাবি জানাচ্ছি যে, ইসরায়েল যেন অবিলম্বে ফিলিস্তিনিদের ওপর অবৈধ সশস্ত্র হামলা বন্ধ করে এবং গাজা উপত্যকা থেকে সম্পূর্ণরূপে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়।’

গাজায় চালানো গণহত্যামূলক যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক নিন্দার সম্মুখীন হচ্ছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে প্রায় ৬১,৬০০ জন নিহত হয়েছেন।

গত নভেম্বরে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এছাড়া, উপত্যকায় চালানো যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (আইসিজে) গণহত্যার মামলার মুখোমুখি হয়েছে।